কাশ্মিরে বিক্ষোভ ঠেকাতে নারী বাহিনী
নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে পাকিস্তানের হামলা বেড়ে যাওয়ায় কাশ্মিরে আরও ৯ ব্যাটালিয়ন সেনাসদস্য মোতায়েন করা হবে। এর মধ্যে ৭ ব্যাটালিয়ন পাঠানো হবে সীমান্তে ও ২ ব্যাটালিয়ন দক্ষিণ কাশ্মিরের উপদ্রুত এলাকাগুলিতে।
নারী বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে, দু’টি নারী ব্যাটালিয়ন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। এসব ব্যাটালিয়নে দুই হাজারের মতো নারী সদস্য থাকবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকার নারীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে। কিশোরীরাও পাথর ছোড়ার ঘটনায় সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে।
বিক্ষোভকারী নারীদের রুখতে স্থানীয়দেরই নিয়োগ করা হবে ওই দুই ব্যাটালিয়নে। দু’দিনের জম্মু-কাশ্মির সফর শেষে রাজনাথ বলেন, নারীদের একটি ব্যাটালিয়ন জম্মুতে ও দ্বিতীয়টি কাশ্মিরে মোতায়েন হবে। এর ফলে দু’হাজার নারীর কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়নি। আবার রাজনাথের এই সফর নিয়ে হুরিয়ত সে ভাবে নেতিবাচক প্রচারের পথেও যায়নি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, কাশ্মিরের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা কিছুটা হলেও ভালো লক্ষণ। এতে আগামী দিনে কাশ্মির নিয়ে কেন্দ্র নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী দীনেশ্বর শর্মার সঙ্গে হুরিয়ত নেতৃত্বের বৈঠকের পথ সুগম হবে বলেই মনে করছে কেন্দ্র।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার সোহেল মেহমুদ দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের ইফতারে যোগ দেওয়ার জন্য হুরিয়ত নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেও প্রথম সারির হুরিয়ত নেতারা কেউ উপস্থিত হননি।
দিল্লির চাপেই এটা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। হুরিয়তের যে কয়েকজন ছোটখাটো প্রতিনিধি এসেছিলেন, তাদের খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না কেন্দ্র। সীমান্তের কাছাকাছি এলাকাগুলিতে পাক সেনাবাহিনীর গুলিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বাড়ানো ও সীমান্তবাসীদের জন্য পাঁচটি বুলেটপ্রুফ অ্যাম্বুলেন্স দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাজনাথ।
টিটিএন/জেআইএম