বাল্যবিবাহ রোধে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সচেতনতা


প্রকাশিত: ০৯:৫৬ এএম, ০২ আগস্ট ২০১৫

প্রতিবন্ধকার অভাব নেই তবে শত সঙ্কট হতাশা দুঃসংবাদের মধ্যে নানা প্রান্তে সাধারণ মানুষের আলোর পথে যাত্রা থেমে নেই। সততা, সাহস ও উদ্যোগ নিয়ে কিছু মানুষ সমাজের দৃষ্টান্ত হয়ে ধরা দেন। তেমনি একজন মানুষ এবার যাত্রা শুরু করলেন বাল্য বিবাহ রোধে নানা কর্মসূচি। তিনি হলেন আ. লতিফ খসরু।

রোববার পিরোজপুরের কাউখালীতে সকালে বাল্যবিবাহ সম্পর্কিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেন লতিফ। এসময় তিনি কিছু ফেস্টুন বগলদাবা করে কার্যক্রম শুরু করেন। কর্মসূচির মধ্যে ছিল উপজেলার চিরাপাড়া ইউনিয়নের কাউখালী কেন্দ্রীয় আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাল্যবিবাহ রোধকল্পে আলোচনা সভা।



উদ্যোক্তা আ. লতিফ খসরু বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশে বাল্যবিবাহের হার বেশি। বর্তমানে প্রায় ৬৫% নারী যাদের ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয় এরমধ্যে সাড়ে ৩২% শতাংশ কিশোরীরা রয়েছে তাদের বয়স ১৫-১৯ বছরের মধ্যে। ২০-২৪ বছর বয়সী ২৯% নারী রয়েছেন তাদের ১৫ বছরের আগেই বিয়ে হয়। বাল্য বিবাহ সমাজের ব্যাধি। বাল্য বিয়ের ফলে শিশুরা বাল্যকাল এবং শিশু অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। বাল্য বিবাহ রোধে আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক আন্দোলন ও প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। পরে শিক্ষার্থীদের বাল্য বিবাহকে না বলি এর মর্মে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।



আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মানসুরা ও নবম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, উদ্যোক্তা আ. লতিফ খসরু। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউখালী কেন্দীয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহম্মদ, সহকারী শিক্ষক আল মামুন, উদ্যোক্তা আ. লতিফ খসরু ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। একইদিন চিরাপাড়া গুচ্ছগ্রামে বসবাসকারী তুকদির খানের বাড়ির আঙিনায় নারী পুরুষদের নিয়ে বাল্যবিবাহ রোধে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।



আ. লতিফ খসরু তার এই কর্মসূচি উপজেলার অন্যসব ইউনিয়নে পর্যায়ক্রমে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান। তিনি তার এই ভ্রাম্যমাণ কর্মসূচিতে যাকে যেখানেই পেয়েছেন সেখানেই তাকে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। তিনি কখনো কখনো বাড়ি গিয়ে নারী পুরুষদের বাল্য বিবাহ না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

হাসান মামুন/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।