স্কুলে ছেলেরাও পরতে পারবে স্কার্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৩৮ পিএম, ০৪ জুন ২০১৮

গ্রীষ্মকালে ট্রাউজার পরতে গরম লাগলে ট্রাউজারের পরিবর্তে এখন স্কার্ট পরতে পারবে ছেলেরাও। লিঙ্গ নিরপেক্ষ ইউনিফর্ম নীতির আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের একটি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

একই সাথে, ছেলেদের শর্টস পরা নিষিদ্ধ করেছে স্কুলটি। আর যারা ট্রাউজার পরতে চাইবে না, তাদের এখন থেকে স্কার্ট পরতে হবে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডসায়ার জেলার চাইলটার্ন এজ সেকেন্ডারি স্কুল এ নির্দেশ জারি করেছে।

স্কুলটির নতুন ইউনিফর্ম নীতিতে বলা আছে, পায়ের পোশাক হিসেবে শুধু ট্রাউজার অথবা স্কার্ট পরা বাধ্যতামূলক। এর বাইরে অন্য কোনো পোশাক পরা যাবে না। স্কুলের নতুন পোশাক নীতি তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া শিক্ষার্থীদের বেশ স্বস্তি দিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত যেভাবে

ব্রিটেনে গত সপ্তাহে বেশ গরম পড়ে। সামনের সপ্তাহে তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হতে পারে। এই গরমে স্কুলে ছেলেদের পোশাকের বিষয়ে আপত্তি তোলেন এক অভিভাবক। ভিরসে পোর্টেয়াস নামের ওই অভিভাবক স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেন, গরমে তার ছেলে স্কুলে শর্টস পরতে পারবে কি না? তখন স্কুল থেকে বলা হয়, শর্টস স্কুলের পোশাক নীতির কোনো অংশ নয়।

ওই অবিভাবক বলেন, কিন্তু আমি জানি, অতীতে অন্যান্য স্কুলে শর্টস পরা হতো। তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করেন, যদি তার ছেলে শর্টস পরতে না পারে, তাহলে সে কি স্কার্ট পরতে পারবে? স্কুল কর্তৃপক্ষ বলে, অবশ্যই।

স্কুলের এ সিদ্ধান্তে বেশ খুশি অভিভাবকরা। জোয়ানে মুডে নামের এক অভিভাবক বলেন, গরমে ছোট বাচ্চাদের ব্লেজার ও টাই পরতে বলা-উন্মাদের মতো কথা।

শিক্ষার মান পর্যাপ্ত নয়-দেশটির শিক্ষা বিভাগ থেকে এমন খেতাব পাওয়ার পর নতুন পোশাক নীতি চালু করেছে স্কুলটি। ওই স্কুলে গত আগস্টে ৯০০ জন শিক্ষার্থী ছিল। পরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৫০৭-য়ে। স্কুলটি ত্যাগ করে শিক্ষার্থীরা অন্য স্কুলে ভর্তি হওয়া শুরু করে।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মোইরা গ্রিন বলেন, ২০১৭ সালের সেটেম্বরে অভিভাবকদের সহযোগিতায় চাইলটার্ন এজ স্কুল অধিকতর আনুষ্ঠানিক পোশাকের দিকে ঝুঁকে পড়ে। আর সেই কাজটি সফল হয়েছে।

সূত্র: ডেইলি মেইল।

এসআর/টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।