সংঘাত-বৈষম্যের ঝুঁকিতে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১১ পিএম, ৩১ মে ২০১৮

সংঘাত, দারিদ্র্য এবং লিঙ্গ বৈষম্যের ঝুঁকিতে রয়েছে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি শিশু। যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিশু সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২০ কোটি শিশু আলাদাভাবে এই ঝুঁকিগুলোর মধ্যে রয়েছে। অপরদিকে, একসঙ্গে এই তিনটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ১৫ কোটি ৩০ লাখ শিশু।

১ জুন আন্তর্জাতিক শিশু দিবসকে সামনে রেখে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন। এতে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য কবলিত দেশগুলোতে ঝুঁকির মুখে বাস করছে প্রায় ১০০ কোটি শিশু, যুদ্ধ ও সংঘাত ২৪ কোটি শিশুর জীবনকে প্রভাবিত করছে এবং নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য স্বাভাবিক বিষয় এমন দেশে ৫৭ কোটি ৫০ লাখ কন্যাশিশু রয়েছে ঝুঁকির মুখে।

১ জুন আন্তর্জাতিক শিশু দিবসকে সামনে রেখে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন। এক বিবৃতিতে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী হেলে থর্নিং সখমিট এক বিবৃতিতে বলেন, তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৫ সালে জাতিসংঘে প্রতিটি দেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিটি শিশু বেঁচে থাকবে, শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে এবং তারা সুরক্ষিত থাকবে। এখনই যদি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব না হয় তবে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি কখনই রক্ষা করতে পারব না।

তিনি আরও বলেন, শিশুদের জন্য তাদের নিজ নিজ দেশের সরকার আরও কিছু করতে পারে। প্রতিটি শিশুর জীবনে সর্বোচ্চ কিছু শুরু করতে হলে সরকারকে অবশ্যই আরও ভালো কিছু করতে হবে।

সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য কবলিত দেশগুলোতে ঝুঁকির মুখে বাস করছে প্রায় ১০০ কোটি শিশু। অপরদিকে ২৪ কোটি শিশুর জীবনকে প্রভাবিত করছে যুদ্ধ-সংঘাত। এছাড়া নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য স্বাভাবিক বিষয় এমন দেশে ৫৭ কোটি ৫০ লাখ কন্যাশিশু ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

গত এক বছরে ১৭৫টি দেশের মধ্যে ৫৮ দেশে শিশুর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা আগের তুলনায় আরও অবনতি ঘটেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী সাব সাহারান আফ্রিকার দেশের ৫১ শতাংশ দেশে শিশুদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। অপরদিকে, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় ৪৭ শতাংশ দেশে শিশুদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।