রাখাইনে জাতিগত নিধন এখনো চলছে : যুক্তরাষ্ট্র
ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মীয় নিপীড়নবিষয়ক মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাম ব্রাউনব্যাক বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা সত্ত্বেও মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন বন্ধ হয়নি। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।
ব্রাউনব্যাক বলেন, সহিংসতা এখনও চলছে। গত মার্চে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সহকারী মহাসচিব অ্যান্ড্রু গিলমুর জানিয়েছিলেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এখনও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে চলে যেতে বাধ্য করছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘মিয়ানমারের সরকার বিশ্বকে এই তথ্য জানাতে ব্যস্ত যে, তারা ফিরে আসা রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত। কিন্তু একই সময়ে তাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের (রোহিঙ্গাদের) বাংলাদেশে চলে যেতে বাধ্য করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।’
এদিকে, মিয়ানমারের নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চির কার্যালয় সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ৫৮ জন মুসলিম রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে পৌঁছেছেন। দেশটির সরকারি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, প্রত্যাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা না মেনে ফিরে আসায় তাদের আটক করা হয়েছিল। পরে ‘ক্ষমা’ করে তাদের অস্থায়ী ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাদের পরিচয় পরীক্ষা করে দেখা হবে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর আগত রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে রাখার জন্য মিয়ানমার সীমান্তে একটি শিবির গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানকার প্রথম বাসিন্দা হলেন এই ৫৮ রোহিঙ্গা। তারা গত চার মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে মিয়ানমারের প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন সু চির মুখপাত্র জ টেয়। তবে ফিরে আসাদের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানায়নি মিয়ানমার।
বাংলাদেশ বলছে, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা নেই। ‘ক্যাম্প থেকে কোনো রোহিঙ্গার রাখাইনে ফিরে যাওয়ার ঘটনা আমরা শুনিনি,’ এএফপিকে বলেন বাংলাদেশের শরণার্থীবিষয়ক কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম।
এর আগে গতমাসে একটি রোহিঙ্গা পরিবারের পাঁচ সদস্যের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার খবর দিয়েছিল মিয়ানমার। সেই সময় বাংলাদেশ দাবি করেছিল, পরিবারটি নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থান করছিল এবং সেখান থেকেই ফেরত গেছে। ডিডব্লিউ।
এসআইএস/জেআইএম