এখন তারা লাল সবুজ পতাকার দেশে


প্রকাশিত: ০৫:৩৩ এএম, ০১ আগস্ট ২০১৫

তারা আর ছিটবাসী নন। তাদেরও নিজস্ব একটি পতাকা হলো। এখন তারা লাল সবুজের দেশের বাসিন্দা। তাদের সন্তানদের মিথ্যা পরিচয়ে আর বড় হতে হবে না। বুক ফুলিয়ে তারা বলবেন আমরা বাংলাদেশের মানুষ। সকল বাঁধা অতিক্রম করে বিজয়ের কেতন উড়লো লালমনিরহাটের ছিটমহলে। শনিবার সকাল ৮টায় পতপত করে উড়লো লাল সবুজ পতাকা। এরই সঙ্গে মুক্তি মিললো দীর্ঘ ৬৮ বছরের বন্দিদশা থেকে।

শনিবার সকাল ৮টায় লালমনিরহাটের উত্তর গোতামারী ছিটমহলে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাতীবান্ধা ইউএনও মাহাবুবুর রহমান। এসময় অন্বেষা শিল্পী সংস্কৃতি গোষ্ঠীর বাদ্যযন্ত্রের তালে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন সদ্য মুক্তি পাওয়া ছিটবাসী।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সম্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে রাতভর জেগে ছিলেন এ অঞ্চলের মানুষ। রাতভর আনন্দ উল্লাস করে শনিবার প্রত্যুষে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে মনের আনন্দে আত্মতৃপ্তি সহকারে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে নিজেদের ধন্য মনে করছেন তারা।

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১১টি ছিটমহলে সরকারিভাবে উত্তোলন হলো জাতীয় পতাকা, জানানো হলো রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের নাগরিক স্বীকৃতি দিয়ে ছিটবাসীদের মিষ্টি মুখ করে সরকারিভাবে বরণ করেন সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

উত্তর গোতামারীতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন প্রধান, কালীগঞ্জ কেইউপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশীদুজামান আহম্মেদ, স্থানীয় প্রবীন ছকবর আলী।

রবিউল হাসান/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।