ভারতে বিক্ষোভে পুলিশের গুলি : নিহত ১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৯ এএম, ২৩ মে ২০১৮

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে একটি কপার কারখানা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে দুইজন নারীও রয়েছেন। কপার কারখানাটি বন্ধের দাবিতে আন্দোলনের ১০০তম দিন মঙ্গলবার বিক্ষোভ সংঘর্ষে রুপ নিলে পুলিশ সরাসরি গুলি ছোড়ে।

আন্দোলনকারীদের দাবি, ভারতের অন্যতম বড় কপার কারখানাটির কারণে পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, স্থানীয় ও পরিবেশবাদীরা কারখানাটি বন্ধের দাবিতে গত ৭ মাস ধরে আন্দোলন করছেন। কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী নিহতের ঘটনাকে খুন বলে মন্তব্য করেছেন।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সদর দফতর ও বেদান্ত রিসোর্চের কর্মচারীদের এপার্টমেন্ট ভবনের বাইরে কালো পতাকা প্রদর্শনের সময় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি বর্ষণ করে পুলিশ।

ভারতের পরিবেশ আদালতের রায়ে ২০১৩ সালে একবার দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ ছিল বেদান্ত রিসোর্চ কোম্পানির মালিকানাধীন কারখানাটি। পরে কারখানাটি আবার সচল করা হয়। এরপর থেকে পরিবেশ বিপর্যয়ের অভিযোগ এনে কারাখানাটি আবার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয় জনগণ ও পরিবেশবাদীরা।

ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী পুলিশের গুলিতে নিহত হবার ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাসবাদ’ ও ‘খুন’ বলে মন্তব্য করেছেন। ঘটনার পর এক টুইট বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ৫ হাজার মানুষের বিশাল জনসমাগমকে ছত্রভঙ্গ করতে শুধু লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা যথেষ্ট ছিল না। পুলিশ বাধ্য হয়ে গুলি ছুড়েছে।

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এডাপ্পাদি কে. পালানিসামি এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষার স্বার্থে এবং অনিবার্য পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য ছিল বলেও তিনি সিএনএনকে জানান।

সূত্র: সিএনএন, টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।