নাজিবকে জিজ্ঞাসাবাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১৮ পিএম, ২২ মে ২০১৮

নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। আর্থিক কেলেঙ্কারির জের ধরে নাজিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

বিনিয়োগ তহবিল ‘ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভলপমেন্ট বরহাদ’ (ওয়ানএমডিবি) থেকে ৭০ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে নাজিবের বিরুদ্ধে। ২০১৫ সাল থেকেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এসব অভিযোগ থেকে মুক্তি পান তিনি।

সম্প্রতি নাজিব রাজাকের বেশ কিছু অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা অভিযান চালিয়ে নগদ অর্থ, কয়েকশ বক্স বিলাসবহুল জিনিস এবং বৈদেশিক মুদ্রা সম্বলিত বহু হ্যান্ডব্যাগ জব্দ করেছে। কুয়ালালামপুরে নাজিবের অ্যাপার্টমেন্টে চালানো এসব অভিযান এবং নাজিবকে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করাও ওয়ানএমডিবির তদন্তের অংশ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি) নাজিবের বিরুদ্ধে সমন জারি করে। সরকারি ফান্ডের কোটি কোটি ডলার তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিভাবে স্থানান্তর করা হলো সে বিষয়ে তাকে বিশেষভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে এমএসিসির প্রধান মোহাম্মদ শুকরি আব্দুল বলেন, তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। তার কাছ থেকে তথ্য নেয়া হচ্ছে। যদি তার উত্তর সন্তোষজনক হয় তবে তাকে আমরা ছেড়ে দেব। যদি আবারও প্রয়োজন পড়ে তবে আমরা তাকে আবারও ডেকে পাঠাব।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সদর দফতরে নাজিব রাজাক যখন পৌঁছান তখন তাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরেন কয়েক ডজন সাংবাদিক। মোহাম্মদ শুকরি বলেন, ২০১৫ সালের মামলার প্রত্যক্ষদর্শী নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এমন খবর প্রচার হওয়ার পরেই নাজিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।

তবে কোন ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাজিব। সম্প্রতি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদের কাছে হেরে গেছেন নাজিব রাজাক। এই পরাজয়ের পেছনে তার বিরুদ্ধে আসা দুর্নীতি কেলেঙ্কারীকেই দায়ী মনে করা হচ্ছে। নাজিব এবং তার স্ত্রীর দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।