হ্যারি-মেগানের বিয়েতে ছিলেন কে এই মুতসু?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, ২২ মে ২০১৮

১৯ মে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ব্রিটিশ দম্পতি প্রিন্স হ্যারি। দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করার পর ঘর গাঁটছড়া বেধেছেন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই রাজকীয় এই বিয়েতে অতিথির তালিকায় ছিলেন নামীদামি সব মানুষ।

তবে এর ব্যতিক্রমও দেখা গেছে। হ্যারি-মেগানের বিয়েতে অতিথি হিসেবে আফ্রিকা থেকে উড়ে এসেছিল এক এতিম কিশোর। আফ্রিকার ছোট্ট দেশ লেসোথোর বাসিন্দা মুতসু পোতসানের সঙ্গে হ্যারির ১৪ বছরের বন্ধুত্ব। সেই সুবাদেই রাজকীয় বিয়ের দাওয়াত পেয়েছিল মুতসু।

ঘটনাটা ২০০৪ সালের। হ্যারির বয়স তখন মাত্র ১৯ বছর। আর বাবা-মা হারানোর মুতসুর বয়স মাত্র ৪ বছর। মুতসু তখন হাঁটতে শিখেছে। লেসেথোর রাজধানী মেসেরু থেকে দূরে এবং মোহাল হোয়কের কাছে একটি এতিমখানায় হ্যারির সাথে মুতসুর প্রথম পরিচয় হয়। আফ্রিকায় এইচআইভি ও এইডস আক্রান্ত যুবকদের সাহায্য করতে হ্যারি সেখানে গিয়েছিলেন। এ সময় মুতসু নামের এই শিশুর সঙ্গে হ্যারির সখ্যতা গড়ে ওঠে তার। এরপর অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গেছে। তবে হ্যারি মুতসুর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। বিয়ের আগে সর্বশেষ দুই বছর আগে দেখা হয়েছিল তাদের। মুতসুর বয়স এখন ১৮ বছর।

guest-(2)

ডিউক অব সাসেক্স তার বিয়েতে নিজের সেন্টেবেইল দাতব্য সংস্থার ১০ জনকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। এই ১০ জনের মধ্যে অন্যতম মুতসু।

প্রকৃতপক্ষে এই দাতব্য সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মুতসু। ২০০৬ সালে প্রিন্স হ্যারি ও মুতসু মিলে এই সংস্থা গড়ে তোলেন। সেন্টেবেইল শব্দের মানে হলো ‘আমাকে ভুলো না।’ স্থলবেষ্টিত লেসেথোয় মরণব্যাধী এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত হাজার হাজার শিশু ও তরুণদের জন্য কাজ করে এই সংস্থা।

দাতব্য সংস্থার চেয়ারম্যান জনি হর্নবি জানান, নবদম্পতিকে সবার আগে যারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুতসু তাদের একজন।

তিনি এও বলেন, ও এখন একটু লাজুক ধরনের, তবে ও খুবই ভালো ছেলে। মুসতু সবেমাত্র স্কুল শেষ করেছে।

জানা যায়, প্রিন্স মুতসুকে একটি নীল ওয়েলিংটন বুট উপহার দিয়েছিলেন। এই বুট পাওয়ার ইচ্ছা মুতসুর অনেকদিনের।

সূত্র: নিউজ.কম.এইউ

এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।