তিস্তার সঙ্গে উঠবে রোহিঙ্গা ইস্যুও
আগামী শুক্রবার শান্তিনিকেতনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। চলতি সপ্তাহে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠক হবে অনানুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
এর আগে গত এপ্রিলে উহান সামিটে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এবং সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন মোদি। শেখ হাসিনার সঙ্গে শুক্রবারের ওই বৈঠক মোদির জন্য তৃতীয় অনানুষ্ঠানিক বৈঠক।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৫ মে সকাল ৮টায় দু’দিনের সফরে কলকাতার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। ভিভিআইপি ফ্লাইটে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর হেলিকপ্টার যোগে সকাল নয়টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি কলকাতা ছাড়বেন।
বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সবুজ কলি সেন সেখানে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদিকে অভ্যর্থনা জানাবেন। শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি বঙ্গ ভবনের (বাংলাদেশ ভবন) উদ্বোধন করবেন। আসানসোলের নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে সাক্ষাত করবেন শেখ হাসিনা।
মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে বহুল কাঙ্ক্ষিত তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি এবং রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পেতে পারে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করা এবং কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশ নেয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করা হবে। বিশ্ব ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হলেও এবারই প্রথমবারের মতো ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন মোদি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ভবনে একটি লাইব্রেরি এবং একটি যাদুঘর থাকবে।
পশ্চিম বঙ্গ সরকার এবং কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর কেসারি নাথ ত্রিপেথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মমতা ব্যানার্জি।
টিটিএন/পিআর