মির্জাপুরে বাল্য বিয়ে : প্রশাসন জানে না
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দশম শ্রেণির ছাত্রের সঙ্গে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের কুড়ালিয়াপাড়া গ্রামে এ বাল্য বিয়ের ঘটনা ঘটে। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বিয়ে হওয়ার ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোনো কর্তা ব্যক্তিই বিষয়টি জানেন না বলে জানা গেছে। এদিকে স্কুল ছাত্রের সঙ্গে ছাত্রীর বিয়ের ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এলাকাবাসী জানান, মির্জাপুর উপজেলার কুড়ালিয়াপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে কুড়ালিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মো. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী পাঁচ চামাড়ী গ্রামের শরীফ খানের মেয়ে একই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শারমিনের সঙ্গে বুধবার রাতে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। এলাকার মাতাব্বর অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য বেল্লাল দেওয়ানের উপস্থিতিতে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেন মোহরে কাজী বিয়ে পড়ান বলে জানা গেছে।
স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বিয়ের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোনো কর্তা ব্যক্তিই বিষয়টি জানেন না বলে জানা গেছে। এদিকে স্কুল ছাত্রের সঙ্গে ছাত্রীর বিয়ের ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
কুড়ালিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান খান জাগো নিউজকে জানান, তার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বিয়ের ঘটনাটি তিনি জানেন না।
বানাইল ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. এলহাজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, মেয়ের মা নেই দারিদ্রতার কারণে ওই স্কুল ছাত্রী নিজের ইচ্ছায় একই বিদ্যালয়েল ছাত্র জাহিদকে বিয়ে করেছে।
ভাবখণ্ড মাদ্রাসার শিক্ষক কাজী মাওলানা সিরাজুল ইসলাম এ বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। বিয়ে পড়ানোর বিষয়ে কাজী সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বর ও কনের পক্ষের অনুরোধে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেন মোহরে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ওই কাজীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমজেড/পিআর