যেভাবে শুরু হয় ইরানে হিজাববিরোধী আন্দোলন
বছর পাঁচেক আগে ইরানে মাসিহ আলিনেজাদ নামে এক নারী দেশটিতে অভিনব এক আন্দোলন শুরু করেন। বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব বা মাথা ঢাকার স্কার্ফ ব্যবহারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন তিনি।
ইরানের আইনে স্পষ্ট করে বলা আছে- নারীদের মাথা এমনভাবে ঢাকতে হবে, যাতে চুল দেখা না যায়৷ আর পরতে হবে ঢোলা বোরকা, যা পা পর্যন্ত ঢেকে রাখবে।
ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মাথা থেকে হিজাব খুলে একটি লাঠিতে বেঁধে সেটি ওড়ানোর অপরাধে ২৯ নারীকে আটক করা হয়।
হিজাব ওড়ানোর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়া হয় ‘হোয়াইটওয়েনেসডেজ’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন : ইরানে ‘হিজাব বিদ্রোহ’ : আটক ২৯ নারী
কিন্তু আন্দোলনের শুরুটা কেমন ছিল? পাঁচ বছরে আগে মাসিহ আলিনেজাদ ইরানের পাহাড়ি পথে গাড়ি চালাচ্ছিলেন, বাতাসে উড়ছিল তার খোলা চুল। নিজের এমন একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন মাসিহ।
এরপর তিনি অন্য নারীদের আহ্বান জানান তারাও যেন তাদের গোপন স্বাধীনতার মুহূর্ত শেয়ার করেন। ফলস্বরুপ সারাদেশ থেকে অসংখ্য নারী তাদের ছবি পোস্ট করতে থাকেন যেগুলোর বেশিরভাগই দেখা যায় মাথায় হিজাব নেই।
সেখান থেকেই শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে বাধ্যতামূলক মাথা ঢাকার স্কার্ফ ব্যবহারের বিরুদ্ধে আন্দোলন #mystealthyFreedom
আরও পড়ুন : ইরানে হিজাব খোলায় ২ বছর কারাদণ্ড
এই আন্দোলন পরে আরও অন্য আন্দোলনকে উসকে দেয়। যেমন: #whitewednesdays, #girlsofenghelabstreet এবং #mycameraismyweapon এই হ্যাসট্যাগ দেয়া নামে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক জাগরণ তৈরি হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মাসিহ ২০০৯ সাল থেকে স্ব আরোপিত নির্বাসনে রয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে ইরানে যান না।
তবে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল হিজার ওড়ানোর দৃশ্যটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন তিনি।
বিবিসি বাংলা।
এনএফ/আরআইপি