মশা মারতে ড্রোন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৫ পিএম, ১৮ মে ২০১৮

বাংলাদেশে একটা প্রবাদ আছে। আর তা হলো মশা মারতে কামান দাগা। এর অর্থ হলো খুব ছোটখাট বিষয় নিয়ে আহা মরি মাতামাতি করা। তবে এ প্রবাদটি অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝাতে ব্যবহৃত হলেও এবার যেন এ প্রবাদের অন্তর্নিহিত অর্থ থাকছে না। এবার মশা মারতে কামান নয়, ড্রোন ব্যবহার করা হবে। আর এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা কর্তৃপক্ষ।

রাজ্যটি মশা মারতে মৃদু গতিতে উড়তে পারা এক ধরনের ড্রোন ব্যবহার করবে। এর নাম দেয়া হয়েছে লো ফ্লাইং ইনসেক্ট ফাইটিং ড্রোন। ড্রোনটির ওজন হবে ১৫ হাজার পাউন্ড অর্থাৎ ৬৮০ কেজি।

বর্তমান আইন অনুযায়ী এই ড্রোন ওড়ানো সম্ভব না, তবে নতুন ফেডারেল কর্মসূচির আওতায় ড্রোনটি রাতে কম উচ্চতায় উড়তে পারবে।

কবে, কীভাবে বিশাল আকারের এই ড্রোন পরিচালনা করা হবে- তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে এবং সমস্যা নির্ণয় করতে কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে হেলিকপ্টার ও ছোট বিমান ব্যবহার করেছে।

জেলা মশা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা এরিক জ্যাকসন সিএনবিসিকে জানান, যতদূর সম্ভব এই ড্রোন অধিকতর পর্যবেক্ষণ ও বিচ্ছিন্ন এলাকায় চিকিৎসা কাজে ব্যবহার করা হবে।

ফ্লোরিডা রাজ্যে অসংখ্য গরান বৃক্ষ রয়েছে। এ গরান বৃক্ষের এ বনভূমিই মশার বংশবিস্তারের আদর্শ জায়গা।

জ্যাকসন বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্ভাবনী ও দক্ষ হবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং এটি যেন যথেষ্ট নিরাপদে ব্যবহার উপযোগী করা যায় সেও চেষ্টাও আমরা করছি।

খবরে বলা হয়, আগামী মাসে বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা করতে রাজ্যের কমিশনাররা বৈঠকে বসবেন।

মশক নিধনে বিমানের ভূমিকা নিয়ে আমরা ৬০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি। তাই, আমি মনে করি, আমরা আমাদের বিবেচনায় যা করেছি-এটি তারই একটি অংশ, জানান জ্যাকসন।

অন্যান্য রাজ্যগুলো বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করেছে। উদাহরণ স্বরুপ, উত্তর ডাকোটা ফসলের খেত পর্যবেক্ষণ ও তেলের পাইপ লাইনের কাজে ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই। টেনিসি রাজ্যের কর্তৃপক্ষ প্যাকেজ বিতরণের কাজে ড্রোন ব্যবহার করছে।

উত্তর ডাকোটার লেফটেন্যান্ট গভর্নর ব্রেন্ট স্যানফোর্ড জানান, এই প্রোগ্রাম বাণিজ্যিক বিনিয়োগ বাড়াতে অনুপ্রাণিত করবে এবং মানববিহীন বিমানের নিত্যনতুন ব্যবহার বিষয়ে অনুসন্ধান করতে অনুমতি দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন বিভাগের আইনজীবী স্টিভেন ব্রাডবারি জানান, ড্রোন নিয়ে মানুষের মাঝে কিছু আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, তবে সংশ্লিষ্ট উদ্যোগের সবচেয়ে বড় লক্ষ্যটি মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াবে এবং মানববিহীন বিমান সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

তিনি আরও বলেন, এই প্রোগ্রাম চালানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষ কোনো অনুদান নেই।

সূত্র: ডেইলি মেইল।

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।