কেউ না কেউ নিষিদ্ধ রাসায়নিক তৈরি করছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪১ পিএম, ১৭ মে ২০১৮

ওজন স্তরের ক্ষতি করে এমন একটি রাসায়নিক পদার্থের নিঃসরণ বাড়ছে। বুধবার এমন তথ্য প্রকাশ করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক চুক্তির ভঙ্গ করে কেউ হয়তো গোপণে ওই রাসায়নিক পদার্থটি তৈরি করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০১২ সাল থেকে সিএফসি-১১-এর নিঃসরণ ২৫ শতাংশ বেড়েছে; যদিও ১৯৮৭ সালের মন্ট্রিল চুক্তির আওতায় এর ব্যবহার পর্যায়ক্রমে নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞানী স্টিফেন মনৎজকা বলছেন, আমি গত ৩০ বছর ধরে সিএফসি-১১ নিঃসরণের হিসেব রাখছি আর এটাই সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য আমি পেলাম। এ তথ্যে আমি সত্যিই খুব অবাক হয়েছি।

বিজ্ঞানীদের এ সন্দেহের পর বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত হতে পারে।

কাগজে-কলমে সিএফসি-১১ উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ বা প্রায় বন্ধ থাকার কথা- বিভিন্ন দেশ অন্তত জাতিসংঘকে এমনটাই জানিয়ে আসছে। কিন্তু এখন যেহেতু এর নিঃসরণের মাত্রা বাড়ছে তাই বিজ্ঞানীরা সন্দেহ করছেন কেউ না কেউ এ রাসায়নিক তৈরি করে যাচ্ছে।

মন্ট্রিল প্রটোকল বিশেষজ্ঞ দারউদ জালকে বলছেন, কেউ অবশ্যই প্রতারণা করছে। এমন সম্ভাবনা খুব সামান্য আছে যে অনিচ্ছাকৃতভাবে এটা নিঃসরিত হচ্ছে। কিন্তু.. এটা আসলে তৈরি হচ্ছে, তার শক্ত প্রমাণ আছে।

তবে কে বা কোথায় এটি তৈরি হচ্ছে সে বিষয়ে ধারণা নেই বিজ্ঞানীদের। তবে এশিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে এটা হতে পারে বলে ধারণা তাদের।

জালকে বলছেন, আমি শুধু এ কারণেই বিস্মিত নই যে এ রাসায়নকটি নিষিদ্ধ, এর বিকল্পও আছে। এখই এটা ভাবাই মুশকিল যে তাহলে এর বাজারটা কী।

এ গবেষণায় অবদান রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যের গবেষকরা। নেচার জার্নালে তাদের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞানী বলছেন, খুব সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে যেখানে এর সরল একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়। যেখানে তারা বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তনকে আমলে নিচ্ছেন।

বায়ুমণ্ডলে একবার মিশে গেলে ৫০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকে সিএফসি-১১। এটা ওজনস্তর ক্ষয় করে এবং এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতেও এর ভূমিকা আছে।

তবে আসলেও কোনো দেশ কেন এটা তৈরি করতে যাবে তা এখনও স্পষ্ট নয় বিজ্ঞানীদের কাছে।

সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট।

এনএফ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।