আইএসকে হারানোর পর প্রথম ভোট ইরাকে
সংসদ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে ইরাকের জনগণ। গত বছর জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার পর প্রথমবারের মতো দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
৭ হাজার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী জোটগুলো থেকে সংসদের ৩২৯টি আসনের জন্য লড়াই করছেন। আইএসের বিরুদ্ধে চার বছরের যুদ্ধের অবসানের পর নতুন করে দেশ গড়ে তোলার জন্য ইরাক এখনও কঠিনভাবে লড়াই করে যাচ্ছে।
স্থানীয় সময় সকাল শনিবার ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এবারের সাধারণ নির্বাচনকে দেশটির স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্পূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে যারা জয়ী হোক না কেন, গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব ও বিচ্ছিন্নতাবাদের উত্তেজনাকে কমিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পরিচালনাই তাদের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে।
শনিবারের ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের বেশিরভাগই বিভিন্ন সুন্নি অথবা শিয়া রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তবে কুর্দিদেরও আলাদা তালিকা রয়েছে।
শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকার ইতোমধ্যেই আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রশংসীত হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থারও বেশ উন্নতি হয়েছে।
তবে দেশজুড়ে সরকারের দুর্নীতি ও দুর্বল অর্থনৈতিক অগ্রগতির সমালোচনা করছেন অনেকেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়ার কয়েক দিনের মাথায় ইরাকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব চলছে তার জন্য ইরাকে আবার নতুন করে সংঘাত ও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেক ইরাকি।
টিটিএন/এমএস