মুক্তি পাচ্ছেন আনোয়ার ইব্রাহিম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ১১ মে ২০১৮

দুই দশক ধরে কারাবন্দি নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমকে ক্ষমা করে দেয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার রাজা। সম্প্রতি শপথ নেয়া দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাহাথির মোহাম্মদের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন আনোয়ার ইব্রাহিম। কিন্তু রাজনৈতিক মতপার্থক্যের জের ধরে ১৯৯৮ সালে উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আনোয়ার ইব্রাহিমকে বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সমকামিতার অভিযোগ এনে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

সবাইকে অবাক করে মাহাথির মোহাম্মদ স্বীকার করেছেন, তিনি জীবনে অনেক ভুল করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে আনোয়ার ইব্রাহিমকে বরখাস্ত করা। নিজের ভুল শুধরে নেবেন মাহাথির। রাজার ক্ষমা পেলে আনোয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন এবং মাহাথিরের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী দুই বছরের মধ্যে তিনিই মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

তবে আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে জোট বাধার পর তাকে এক নম্বর অভিনেতা বলে বিদ্রূপ করেছেন নাজিব রাজাক। ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় নিয়ে লেখা একটি বইয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ বাদাইয়ি বলেছেন, মাহাথির তার নিজের পথেই চলেন এবং তিনি বিশ্বাস করেন, তার পথই একমাত্র পথ।'

২২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০০৩ সালে অবসরে গিয়েছিলেন মাহাথির। কিন্তু তার ভাষায়, জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সংশোধন করার জন্য তিনি আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন।

শুধুমাত্র তার এক সময়ের শিষ্য নাজিব রাজাককেই তিনি পরাজিত করেননি, তার দল ইউনাইটেড মালয়িস ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনকে হারিয়ে এক সময়ের প্রতিপক্ষ পাকাতান হারাপান কোয়ালিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি দু'বছর ক্ষমতায় থাকতে চান। এরপর তিনি কারাবন্দী নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মাহাথির বলেন, কেবল মুক্তি নয়, রাজা আনোয়ার ইব্রাহিমকে ক্ষমা করে দেওয়ার আভাস দিয়েছেন। রাজা আভাস দিয়েছেন তিনি শিগগিরই আনোয়ার ইব্রাহিমকে মুক্তি দিতে ইচ্ছুক। ক্ষমা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তি পাবেন আনোয়ার ইব্রাহিম।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।