মধ্যপ্রাচ্য থেকে কলকাতায় স্বর্ণ পাচারকালে গ্রেফতার
মধ্যপ্রাচ্য থেকে কলকাতায় স্বর্ণ পাচারের পরিকল্পনা করেছিল একদল পাচারকারী। সেই পরিকল্পনা কলকাতা পুলিশ বানচাল করে দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য থেকে কলকাতার দূরত্ব প্রায় ৪ হাজার ৬১০ কিলোমিটার। মধ্যপ্রাচ্য থেকে কলকাতায় স্বর্ণের পাচার ক্রমেই বাড়ছে। এই দিকেই নজর রেখেছিল কলকাতা পুলিশ। পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে কলকাতায় স্বর্ণ
চালান চক্রের মূল সন্দেহভাজন বিকাশ ভৌমিক।
পুলিশ সূত্রের খবর, তিনমাস আগে কলকাতার বড়বাজার থানার পুলিশ প্রায় সত্তর লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ স্বর্ণ বাজেয়াপ্ত করে। সে সময় একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। এরপরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
তদন্ত করে পুলিশ একটি চক্রের খোঁজ পায়। যারা মধ্য প্রাচ্য থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে অবৈধ ভাবে স্বর্ণ পাচার করছিল। প্রথমে স্বর্ণ বাংলাদেশ থেকে আসতো ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। তারপর সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরা থেকে ছড়িয়ে যেত পূর্ব ভারতের বিভিন্ন শহরের বাজারে।
এই চক্রের খোঁজ পেতে বড়বাজার থানার ওসি সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের একটি দল ত্রিপুরা ঘুরে আসে। সেখান থেকে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয় এবং কড়া নজরদারি শুরু হয়।
কিছুদিন আগে পুলিশের কাছে খবর আসে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে এক সন্দেহভাজন প্রচুর পরিমাণে অবৈধ স্বর্ণ নিয়ে রওনা দেবে কলকাতায়। খবর পেয়ে বড়বাজার থানার টিম রওনা হয় উত্তরবঙ্গে। সূত্রের খবর ছিল সন্দেহভাজন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে উঠবে। তাই কলকাতা পুলিশের টিমও ওঠে ওই ট্রেনে। রাতভর নজরদারি চালায় পুলিশ।
স্বর্ণ বড়বাজারে হাতবদল হবে বলে খবর পায় পুলিশ। পরে ওই পাচারকারীর পিছু নেয় পুলিশ। বড়বাজারের দিকে যাওয়ার সময়ই তাকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সবকিছু অস্বীকার করেন ওই অভিযুক্ত। তবে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে উদ্ধার হয় দুবাই থেকে ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে পাচার হওয়া পঁচিশটি সোনার বাট। আটক হওয়া বিকাশ ভৌমিক আগরতলার বাসিন্দা। এই চক্রে আর কে বা কারা কীভাবে যুক্ত আছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
টিটিএন/পিআর