মিয়ানমারে নতুন করে সংঘাত, পালিয়েছে আরও কয়েক হাজার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২১ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৮

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় নতুন করে আরও কয়েক হাজার মানুষ ওই অঞ্চল ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।

শুক্রবার জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেশন অব হিউমেনিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) প্রধান মার্ক কাটস এএফপিকে বলেন, গত তিন সপ্তাহে চীনা সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্য থেকে চার হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে।

চলতি বছরের শুরুতে ১৫ হাজার মানুষ ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। ২০১১ সালে কাচিন এবং শান রাজ্যে সরকার এবং শক্তিশালী কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের পর এ পর্যন্ত ৯০ হাজার মানুষ আইডিপি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।

মার্ক কাটস সাম্প্রতিক সহিংসতা সম্পর্কে বলেন, আমরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি যে, ওই এলাকায় এখনও অনেক বেসামরিক বাসিন্দা আটকা পড়ে আছেন।

তিনি বলেন, সংঘাতপূর্ণ এলাকার বেসামরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, বয়স্ক লোকজন, ছোট শিশু এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী লোকজনের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের সবার প্রথমে নিশ্চিত করতে হবে। তবে ওই সংঘাতে কোনো বেসামরিক নিহত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এর আগে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার ঘটনায় কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। গত আগস্টে বেশ কয়েকটি পুলিশ ও সেনা চেকপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে সামরিক অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে সেখানে বর্বর নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হয়।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে জাতিগত নিধন চালিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। কিন্তু বরাবরই ওই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।

২০১৬ সালে ডি ফ্যাক্টো নেত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটির নেত্রী অং সান সু চি জানিয়েছিলেন, তিনি দেশে শান্তি স্থাপনকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দেবেন। কিন্তু সেই অবস্থার কোনো উন্নতি চোখে পড়েনি।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।