ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁস : এখনো যারা কারাগারে


প্রকাশিত: ০৬:১৩ এএম, ২৯ জুলাই ২০১৫

ট্রাইব্যুনালের রায় প্রকাশ হওয়া নিয়ে বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামসহ তিনজন  কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, নয়ন আলী ও ফারুক আহমেদ।

ট্রাইব্যুনালে সাকার মামলা পরিচালনা করতেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের কক্ষে পিয়ন হিসেবে ছিলেন নয়ন আলী এবং ফারুক আহমেদ ছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী।   

রায় ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে) করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে বিচার কাযক্রম চলছে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট কেশব রায় চৌধুরী আদালতে। গত ২৭ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুননির কথা ছিল তবে আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পিছিয়ে আবারো ২০ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করা হয়েছে।

সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামসহ সাত জনের বিরুদ্ধে এ চার্জ শুনানির দিন আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পুনর্র্নিধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২৭ জুলাই) মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীর অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তার পক্ষে সময়ের আবেদন জানান আইনজীবী।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসএম শামসুল আলম শুনানি শেষে চার্জ শুনানির জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নতুন করে দিন ধার্য করেছেন।

মামলার চার আসামি সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, ম্যানেজার একেএম মাহবুবুল হাসান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী (সাঁটলিপিকার) ফারুক হোসেন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন আলী কারাগারে আটক আছেন। তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।

জামিনে থাকা সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

তার আগে ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর সাকা চৌধুরীর রায় ফাঁসের ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলায় রাজধানীর সেগুনবাগিচার চেম্বার থেকে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর হাবিল হোসেন পরের দিন ২৫ নভেম্বর দুপুরে তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করেন।

রায় ফাঁসের ঘটনার ওই মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অস্থায়ী কর্মচারী নয়ন আলী আদালতে জবানবন্দি দেন। নয়নের জবানবন্দিতে ফখরুল ও ওই ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী ফারুক আহমেদ জড়িত বলে উল্লেখ করেন।

নয়ন আলী স্বীকারোক্তি করার পর ফারুক আহমেদ আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। ২৫ নভেম্বর আসামি পক্ষে জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। যা নাকোচ করা হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান।

রায় ঘোষণার পরদিন ২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। মামলায় ট্রাইব্যুনালের ফারুক ও নয়ন এবং ব্যারস্টার ফখরুলের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদীকে আসামি করা হয়েছিল। এছাড়া ওই বছরের ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে ঢাকার শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেছিলেন।

এফএইচ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।