ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ভারতের আরও এক ধর্মগুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪১ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

পাঁচ বছর আগের একটি ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ভারতের স্বঘোষিত গডম্যান আসারাম বাপু। বুধবার জোধপুরের একটি আদালত তাকে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন। সারাবিশ্বে এই ধর্মগুরুর কয়েক লাখ অনুসারী রয়েছে। খবর বিবিসি।

২০১৩ সালে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ৭৭ বছর বয়সী আসারাম বাপুর বিরুদ্ধে। দোষী সাব্যস্ত হওয়া এই ধর্মগুরু উচ্চ আদালতে তার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

বিশ্বব্যাপী ৪শ আশ্রম রয়েছে এই ধর্মগুরুর। সেখানে তিনি মেডিটেশন এবং ইয়োগা শেখান। গুজরাট শহরে আরও একটি ধর্ষণের ঘটনাও তিনি বিচারের মুখোমুখি হবেন।

১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় আসারামসহ মোট পাঁচজন অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনকে মুক্তি দিয়েছে আদালত। আইনজীবীদের ধারণা ৭৭ বছরের আসারামের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। বুধবার আরও পরের দিকে তার সাজা ঘোষণা করা হবে।

আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার রায় নিয়ে জোধপুরে ইতোমধ্যেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজস্থান, গুজরাট ও হরিয়ানায়। তিন রাজ্যেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এর আগে আরও এক ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার শাস্তি ঘোষণা করা হয়। এর পরই বিক্ষোভ-সংঘাতে ৩৬ জন নিহত এবং প্রায় ২শ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়। আসারাম বাপুরও ভক্তের সংখ্যা অনেক।সেকারণেই অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রায় ঘোষণার আগে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগে তার ৬ ভক্তকে আটক করা হয়েছে।

২০১৩ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলেই রয়েছেন আসারাম। ১২ বার জামিনের আবেদন করেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারই তার আবেদন খারিজ করা হয়। অশুভ শক্তির হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার নাম করে মানাই গ্রামের আশ্রমে নিয়ে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিল বলে আসারামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। আসারামের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে গত চার বছরে দুই মামলার ৯ জন সাক্ষীর উপর হামলা চালানো হয়েছে। মারা গেছেন ৩ জন।

টিটিএন/এসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।