৭শ বছরের গাছটিকে উই থেকে বাঁচানো যাবে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৪ এএম, ২১ এপ্রিল ২০১৮

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে শতবর্ষী এক বটগাছকে উইপোকার হাত থেকে বাঁচানোর আশায় গাছটির সঙ্গে স্যালাইনের বোতালে ক্লোরোপিরিফস ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বিশেষ এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর দৃষ্টি কারতে সক্ষম হয়েছে। কারণ এই কীটনাশাক আসলে এমনভাবে ঝোলানো হয়েছে, ঠিক অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালের বিছানায় স্যালাইন দেয়া হেয় যেভাবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়, তেলেঙ্গানা রাজ্যে অবস্থিত ৭০০ বছর বয়সী এই গাছটির শিকড় বিস্তৃত হয়েছে তিন একর জুড়ে। পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণও এটি।

গাছটি স্থানীয়ভাবে ‘পিল্লালামারি’ বা ‘পিরলা মারি’ বলে পরিচিত।

বটবৃক্ষটির শাখা-প্রশাখা এতো বেশি এবং এতো ঘন যে কারণে এটির মূল খুঁজে পাওয়া কষ্টকর এবং এজন্যই এই গাছটিকে দেখতে পর্যটকরা ছুটে আসেন।

উইপোকায় একটি শাখা খেয়ে ফেলার কারণে এর একটি শাখা ভেঙে পড়ে গেলে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বৃক্ষটিসহ এর আশপাশের এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

তারপর থেকে, বনবিভাগের কর্মকর্তারা গাছটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন উইপোকা ধ্বংসের জন্য বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে।

tree

শুরুতে বনবিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী, গাছটির বিভিন্ন কোটরের সাহায্যে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। তবে এই উদ্যোগটি ব্যর্থ হলে কর্মকর্তাদের নতুন কিছু করার জন্য চাপ দেয়া হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় কীটনাশক যাতে সহজে গাছটির ভেতরে যেতে পারে সেজন্য গাছটির শাখায় শাখায় স্যালাইন দেয়ার মতো করে ক্লোরোপিরিফস বোতল ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

মাহাবুবনগর জেলার বন বিভাগের কর্মকর্তা চুক্কা গঙ্গা রেড্ডি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান, এই পদ্ধতিটি কার্যকরী হয়েছে।

বৃক্ষটির অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আমরা আশা করছি, কয়েকদিনের মধ্যেই বৃক্ষটি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা জায়গাটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার পরিকল্পনা করছি। তবে এজন্য জনসাধারণকে ব্যারিকেড দেয়ার জায়গা থেকে বৃক্ষটিকে দেখতে হবে। একদম কাছে গিয়ে দেখতে পারবে না। জানান বন বিভাগের ওই কর্মকর্তা।

সূত্র: ডেইলি মেইল

এসআর/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।