ফেসবুকেই বেশি সময় দেন বলে স্ত্রীকে হত্যা
সামাজিক মাধ্যমে অনেক বেশি সময় দিতেন স্ত্রী। সেকারণেই ঘুমের মধ্যে লক্ষ্ণী নামের এক নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তার স্বামী। গত বৃহস্পতিবার ভারতের গুরুগ্রামে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার লক্ষ্ণীর স্বামী হরিয়মকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, তিনি তার স্ত্রীর ওপর খুবই বিরক্ত ছিলেন। কারণ তার স্ত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলের পেছনেই সময় ব্যয় করতেন। প্রায় সারাদিনই তিনি সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে গল্প-গুজবে ব্যস্ত থাকতেন।
৩৫ বছর বয়সী হরিয়ম বলেন, নিজের স্বামী আর সন্তানদের প্রতি ঠিকমত দায়িত্ব পালন করতেন না বলে লক্ষ্ণীর প্রতি বেশ চটে ছিলেন হরিয়ম। আর সে কারণেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমের মধ্যেই শ্বাসরোধ করে লক্ষ্ণীকে হত্যা করেন তিনি।
২০০৬ সালে বিয়ে করেন লক্ষ্ণী এবং হরিয়ম। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। সব কিছুই ঠিকভাবে চলছিল। কিন্তু লক্ষ্ণীকে স্মার্টফোন কিনে দেয়ার পর থেকেই বিপত্তি বাধে। সে আসতে আসতে স্বামী, সন্তান এবং তার সংসারের কাজকর্মের প্রতি অনীহা দেখাতে শুরু করে। হরিয়মের অভিযোগ, প্রায় সময়ই লক্ষ্ণী রান্নাও করতো না এবং বাচ্চাদের স্কুলেও নিয়ে যেত না। সে সারাদিন-রাত ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপ নিয়েই ব্যস্ত থাকত।
হরিয়ম বলেন, আমি লক্ষ্ণীর এসব আচরণকে পাত্তা দিতাম না। ভাবতাম এক সময় সে এসব নিয়ে বিরক্ত হয়ে যাবে আর এগুলো থেকে সরে আসবে। আমরা প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া করতাম যার প্রভাব আমাদের বাচ্চাদের ওপরও পড়ত। এক সময় লক্ষ্ণী জোর করেই তার দুই সন্তানকে একটি বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে দেন। তারপরও তার মধ্যে কোনো পরিবর্তনই দেখা যায়নি।
হরিয়ম পুলিশকে বলেন, লক্ষ্ণী তার ফেসবুকের কোনো কিছুই দেখতে দিত না। তাই আমার সন্দেহ হয়েছিল যে, সে হয়তো অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের মধ্যে খুব ঝগড়া হয়। আমার মনে হচ্ছিল এসব আমি আর নিতে পারব না। সে কারণেই ঘুমের মধ্যে লক্ষ্ণীকে হত্যা করেছেন বলে জানান হরিয়ম।
টিটিএন/এমএস