হুমকি দিয়ে রাখল যুক্তরাষ্ট্র
নতুন করে আবার যদি রাসায়নিক হামলা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আবারও সিরিয়ায় হামলা চালাতে প্রস্তুত বলে দেশটির সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এক সপ্তাহ আগে দৌমা শহরে সিরিয়ার আসাদ সরকার রাসায়নিক হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সম্মিলিত হামলার পরই নতুন করে আবার এ হুমকি দিয়ে রাখলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
তবে হামলার সম্পর্কে নিজেদের কোনো সম্পর্কে নেই বলে দাবি করে আসছে আসাদ সরকার। বরং তারা এর জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সিরিয়ায় যে হামলার চালানো হয়েছে, আসাদ সরকারের মিত্র রাশিয়া এ বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের ৭ বছরে বাশার আল আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে এটিই পশ্চিমাদের সবচেয়ে বড় হামলা।
শনিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকে রাশিয়া পশ্চিমা শক্তির বিমান হামলার বিষয়ে নিন্দা প্রস্তাব আনার চেষ্টা করে। ওই বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বিষয়টি নিয়ে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার প্রতিনিধি ওই বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথা পৌঁছে দেন। দৌমার ঘটনার তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই হামলার সমালোচনা করেন পুতিন।
জবাবে এই হামলাকে বৈধ বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি নিকি হেলি।
তিনি বলেছেন, আমি আজ সকালেই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, সিরিয়া যদি আবার বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করে তবে যুক্তরাষ্ট্র আাবারও হামলার জন্য প্রস্তুত।
এই বৈঠকে সিরিয়ার প্রতিনিধি বাশার জাফরি অভিযোগ করেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স মিথ্যা বলছে।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কেবল চীন ও বলিভিয়া রাশিয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
ট্রাম্প কী বলছেন
সিরিয়া হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য অংশ নেয়ায় এ দেশ দুটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে হামলা পুরোপুরি সফল দাবিও করেছেন তিনি। টুইটারে ট্রাম্প লিখেছেন, গত রাতে হামলা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে। বিচক্ষণতার জন্য ফ্রান্স ও ব্রিটেনকে ধন্যবাদ। তাদের চমৎকার সেনাবাহিনীকেও ধন্যবাদ।
এনএফ/এমএস