সিরিয়ায় মার্কিন হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন
সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের বিমান হামলার ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন রাশিয়ার এক ঊর্ধ্বতন সংসদ সদস্য। তিনদেশ একজোট হয়ে সিরিয়ায় হামলা চালানোর কারণে বৈশ্বিক রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে তদন্তকারীদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে এবং এর ফলে ভালো কোনো ফলাফলও আসবে না বলে শনিবার মন্তব্য করেন তিনি।
রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের ইন্টারন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান কোনসটানটিন কোসাচেভ ইন্টারফেক্সকে বলেন, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের বিমান হামলা সার্বভৌমিক একটি দেশে ভিত্তিহীন হামলা।
সিরিয়ার দৌমায় রাসায়নিক হামলার ঘটনা তদন্তে অর্গ্যানাইজেশন অব কেমিক্যাল ওয়েপুনস মিশন সম্প্রতি কাজ শুরু করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স সেখানে হামলা চালানোর কারণে তদন্ত কাজে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা শুরু হবে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। তদন্ত কাজকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্যই তারা জোট হয়ে হামলা চালিয়েছে।
সিরিয়ার টারটুসে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের নির্দেশনায় এ বিমান হামলা শুরু করেছে পশ্চিমা এ মিত্র দেশগুলো। অন্যদিকে সিরিয়ার বিমান বাহিনী এ হামলার প্রতিরোধ করছে।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চারটি টর্নেডো বিমান হোমস থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত একটি সামরিক স্থাপনায় স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এটি একটি সাবেক ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি। সিরিয়া সরকার একে রাসায়নিক অস্ত্র মজুদের গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে হামলাটি সফল হয়েছে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, সিরিয়ার দৌমায় রাসায়নিক হামলার অভিযোগটি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার বিষয়ে কী করা হবে সে বিষয়ে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তার এমন ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই বিমান হামলা চালানো হলো।
টিটিএন/আরআইপি