ফতুল্লায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যা!


প্রকাশিত: ০৪:০০ এএম, ২৮ জুলাই ২০১৫

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে শান্তা (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শান্তা নড়াইল জেলার কালিয়া গ্রামের শাহীনের মেয়ে।  

সোমবার রাতে ফতুল্লার আফাজনগর এলাকার রহমত উল্লাহর বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। শান্তার শ্বশুর সামসুদ্দিন মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেননি। তবে এলাকাবাসী তাদের ফ্ল্যাটে প্রায় সময় নির্যাতন ও চিৎকারের শব্দ শুনতে পারতেন বলে অনেকেই জানান।

এ ব্যাপারে শান্তার বাবা শাহীন জাগো নিউজকে জানান, তার মেয়ে শান্তা অনার্স করেছে। সাত মাস আগে শান্তাকে ভালবেসে সামসুদ্দিনের ছেলে শহীদ বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে প্রায় সময় শান্তাকে মারপিট করতো। সোমবার সকালেও শান্তা নড়াইলের বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছে ঘরের ফার্নিচার ও নগদ টাকা না দিলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করবেন। পরে শান্তার শ্বশুর সামসুদ্দিনকে ফোন করে মেয়েকে নড়াইল পাঠাতে বলেন। সন্ধ্যায় ফোন করে সামসুদ্দিন জানান শান্তা আত্মহত্যা করেছে। শাহীনের অভিযোগ, যৌতুকের দাবিতে তার মেয়ে শান্তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এদিকে শান্তার স্বামী শহীদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও তার সংযোগ পাওয়া যায়নি।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজান জাগো নিউজকে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
 
মো.শাহাদাৎ হোসেন/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।