বাইক চালিয়ে ৬ দেশ জয় চার তনয়ার

মনিকা সাহা
মনিকা সাহা মনিকা সাহা , কলকাতা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:০১ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৮

লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন দেশে নিজ রাজ্যের পর্যটন শিল্পের প্রচার করবেন। আর সেই লক্ষ্য পূরণে ছয়টি দেশের ১৭ হাজার কিলোমিটার পথ বাইক চালিয়ে পাড়ি দিয়েছেন চার তনয়া। আর এই চার তনয়া হলেন ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের বাসিন্দা।

তাদের এ সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যের পর্যটন বিভাগ।

এই চার তনয়া প্রথমে ভারতের ১৫টি রাজ্য বাইক চালিয়ে ঘুরেছিলেন। নিজ রাজ্যের পর্যটন শিল্পের প্রচার করাটাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। এরপর আন্তর্জাতিক স্তরে রাজ্যকে তুলে ধরতে তারা বেরিয়ে পড়েন বিভিন্ন দেশে।

তেলেঙ্গানা স্টেট ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (টিএসটিডিপি) চার মহিলার এই উদ্যোগকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিল এবং তাদের তরফ থেকে সম্ভাব্য সাহায্যের হাতও বাড়িয়েছিল। তাদের ভরসা করেই এই চার কন্যা প্রায় ১৭ হাজার কিমি বাইক চালিয়েছেন।

ভারতের এক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, চার মহিলা সদস্যের এই বাইক যাত্রা শুরু হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ তারিখ থেকে। প্রথমে তারা ভারতের রাজ্য মণিপুর সীমানা পার করে মিয়ানমারে প্রবেশ করেন। এরপরে থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশ হয়ে ফের প্রবেশ করেন ভারতে। দক্ষিণ এশিয়ার এই ছয়টি দেশ ঘুরে শেষ হয়েছে ‘রোড টু মেকং’-এর ১৬ হাজার ৯৯২ কিমি যাত্রাপথ। এর আগে মাত্র ১৩ দিন আগেই দেশের ১৫টি রাজ্য ভ্রমণ সেরে এসেছিলেন বাইক সওয়ারি চার নারী।

এই চার তনয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তেলেঙ্গানা স্টেট ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (টিএসটিডিপি) ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডি মনোহর।

তিনি বলেন, তেলেঙ্গানা ট্যুরিজম এবং ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়ার জন্য এই চার জনের উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি।

দেশের অন্য কোনো রাজ্যের পর্যটন শিল্পের প্রচারের জন্য এমন উদ্যোগ নেয়নি। সেই কারণে এই অভিনব পরিকল্পনার কথা শুনে চার বাইক সওয়ারিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করা হয়েছিল বলে জানান ডি মনোহর।
চার তনয়ার একজন হলেন তেলেঙ্গানা পুলিশের কর্মী। তার নাম সুসান। এই লম্বা সফর সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অসাধারণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। নিজেকে নতুন করে চিনতে পেরেছি। এখন থেকে আমি আরও নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে পারবো।’

এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।