ফেনীর ৩০ গ্রাম প্লাবিত : লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি


প্রকাশিত: ১১:০৬ এএম, ২৭ জুলাই ২০১৫

মুহুরী ও কুহুয়া নদী রক্ষাবাঁধ ভেঙে ফেনীর ছাগলনাইয়া, পরশুরাম ও সদর উপজেলার ৩০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। শনিবার থেকে জেলা ও উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রি বিতরণ করা হচ্ছে। এদিকে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে সোনালী ফসল ও স্বপ্ন ভেজা পুকুরের মাছ।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, মুহুরী নদীর সাহপাড়া ২০ মিটার ও উত্তর দৌলতপুরে ৩০ মিটার ও কহুয়া নদীর বৈরাগপুরে ৩০ মিটার এলাকা বাঁধ ভেঙে ধেয়ে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে ফুলগাজী উপজেলার শাহাপাড়া, উত্তর ও দক্ষিণ দৌলতপুর, বৈরাগপুর, পশ্চিম ও উত্তর ঘনিয়ামোড়া, বরইয়া এবং পাশের ছাগলনাইয়া, পরশুরাম উপজেলা ও ট্যাটেশ্বর, সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের আবুপুরের ৬ গ্রামসহ অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।  এতে কয়েকশ বসতবাড়ির লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।  

এছাড়াও ফুলগাজী উপজেলার সাহাপাড়া, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, বৈরাগ পুর, জগৎপুর ও শর্শদীর আবুপুরের বাসিন্দারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকে অত্মীয়স্বজন ও উচুস্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানা যায়।  ৭৮০টি পুকুর থেকে প্রায় ৫৬ লক্ষাধিক টাকার মাছ ভেসে গেছে।  তলিয়ে গেছে ৯০ হেক্টর আমন বীজ তলা।  বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।  এছাড়াও ভারী বর্ষণে মুহুরি ও কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের শ্রীচন্দপুর, জয়পুর ও জগতপুর এলাকায় বাঁধের ৪টি স্থান যে কোনো মূহুর্তে ভেঙে যেতে পারে বলে জানায় স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রী অপ্রতুল।  এ পরিস্থিতিতে রোববার বন্যা দুর্গত এলাকায় ১২শ পরিবারকে ২ লিটার করে বিশুদ্ধ পানি ও দু`টি করে খাবার স্যালাইনসহ শুকনো খাবার বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম বৃষ্টি কমে গেলে জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তোরণ সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম জানান, বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।  বন্যা পীড়িতদের জন্য আরো সাহায্যের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা অনুযায়ী তালিকা পাঠানো হয়েছে।

জহিরুল হক মিলু/এমএএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।