মহাকাশে হোটেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫২ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০১৮

এক দিনেই ১৬ বার সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা। সেই সঙ্গে মহাশূন্যে ভেসে বেড়ানো? মাঝে মাঝেই মনের মধ্যে নানান প্রশ্ন উঁকি দেয়-আচ্ছা মহাশূন্য থেকে পৃথিবীকে কেমন দেখতে কেমন? এখন হয়তো সেই প্রশ্নের উত্তর পাবেন। স্বপ্ন সত্যি করে অল্প কিছু মানুষের কাতারে চলে যেতে পারবেন আপনিও।

এজন্য মাত্র চার বছর অপেক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথম বিলাসবহুল মহাকাশ হোটেলে থাকা খাওয়ার বিল বাবদ খরচ হবে প্রায় ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার। এই টাকা খরচ করেই হয়তো এতদিনের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হবে।

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান হোসেতে স্পেস২.০ সম্মেলনে ‘অরোরা স্টেশন’ নামে প্রথম বিলাসবহুল মহাকাশ হোটেল তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন স্প্যান বিলাসবহুল ওই হোটেলটি নির্মাণ করবে। মহাকাশে ১২ দিনের সফরে দু’জন ক্রু সদস্যসহ একসঙ্গে ছয়জন থাকতে পারবেন। ২০২২ সালেই এই মহাকাশ হোটেলটি তাদের প্রথম অতিথিদের স্বাগত জানাবে।

এক বিবৃতিতে ওরিয়ন স্প্যানের প্রধান নির্বাহী এবং প্রতিষ্ঠাতা ফ্রাংক বাংগার বলেন, সবার জন্য মহাকাশ ভ্রমণ সহজ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। তিনি আরও বলেন, অরোরা স্টেশন খুব শিগগিরই তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। সেজন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না। খুব তাড়াতাড়ি মহাকাশ ভ্রমণকারীদের আগের চেয়ে অনেক কম খরচে ভ্রমণের সুযোগ করে দেয়া হবে।

বার্গনার বলেন, মহাকাশ স্টেশনে যেতে নভোচারীদের সাধারণত ২৪ মাস প্রশিক্ষণ নেয়ার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু তারা এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের সময় কমিয়ে এনেছেন। এখন মাত্র তিন মাস প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

ওরিয়ন স্পেসে দু’সপ্তাহের ভ্রমণের জন্য প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার খরচের চিন্তা হয়তো অনেকেরই বাজেটের বাইরে। কিন্তু সংস্থাটির দাবি বলছে, এই ভ্রমণে সত্যিকারের মহাকাশচারীর অভিজ্ঞতা পাবেন ভ্রমণকারীরা। শুধু তাই নয়, এখানে হোটেলটি পৃথিবীকে প্রতি ৯০ মিনিটে প্রদক্ষিণ করবে। তার মানে যারা এই বিলাসবহুল হোটেলের অতিথি হবেন তারা প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১৬ বার সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।