গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে নিহত ৭, আহত হাজারের বেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৮ এএম, ০৭ এপ্রিল ২০১৮

গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আবারও গুলি চালিয়েছে। এতে এক কিশোরসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি। শুক্রবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।

মন্ত্রী জানান, আহতদের মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের অনেককে সীমান্তের পাশে রেড ক্রিসেন্ট ফিল্ড মেডিকসে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪৮ শিশু ও ১২ জন নারী রয়েছেন বলেও তিনি জানান।

ফিলিস্তিনিদের ‘মার্চ অব রিটার্নের’ অংশ হিসেবে শুক্রবার যে কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল অনেকে সেটার নাম দিয়েছিলেন ‘ফ্রাইডে অব ফায়ার’ অথবা ফ্রাইডে অব টায়ার।’ এ কর্মসূচি ঘিরে গাজা-ইসরায়েল সীমান্তের দু’পাশেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

ফিলিস্তিনিদের মার্চ অব রিটার্ন বিক্ষোভের উদ্দেশ্য হলো- সীমান্ত বেষ্টনী পার হয়ে তাদের নিজেদের ভূখণ্ডে ফেরত যাওয়া; সাত বছর আগে যা ইসরায়েলের অংশ হয়ে যায়।

শুক্রবার বিক্ষোভের আগে হাজারো ফিলিস্তিনি সীমান্তে জড়ো হয়ে টায়ারে অগ্নিসংযোগের প্রস্তুতি নেয়, যাতে করে টায়ারের ধোঁয়া ইসরায়েলি সেনাদের দেখতে সমস্যা তৈরি করে।

টুইটারে একটি ভিডিওতে অনেককে সীমান্ত বেষ্টনী কাটার চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আগেই বলছেন, সীমান্তে বেড়ার কোনো ক্ষতি তারা মেনে নেবে না এবং যারা নিয়ম মানবে না তাদের গুলি করা হবে।’

ইসরায়েলের ডিভেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) এর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রোনেন ম্যানেলিস বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, বেসামরিক ছদ্মবেশে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ড যা ‘সীমান্ত বেষ্টনীর নিরাপত্তা’ বিঘ্নিত করবে তা মেনে নেয়া হবে না।

এদিকে সংঘর্ষের জন্য ইসরায়েল হামাস এবং ইসলামী জিহাদকে দায়ী করে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এটা চলতে থাকলে তারা কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

সূত্র: সিএনএন।

এসআর/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।