রুপালির সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে গেল বাঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৮

বাঘের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে ফিরেছেন ভারতের এক তরুণী। চিকিৎসক বলছেন, এই তরুণী অত্যন্ত সৌভাগ্যবতী। গত সপ্তাহে তরুণীর পোষা ছাগলের ওপর হামলা চালিয়েছিল একটি বাঘ। ছাগলকে বাঁচাতে একটি লাঠি নিয়ে বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ে রক্তাক্ত হলেও তার সাহসের কাছে হেরে পিছু হটেছে বাঘটি।

রুপালি মেশরাম (২৩) নামের ওই তরুণী বলেন, ছাগলের চিৎকার শোনার পর তিনি দৌড়ে মহারাষ্ট্রের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। একটি লাঠি তুলে নিয়ে বাঘটিকে আঘাত করতে থাকেন।

এ সময় ছাগল ছেড়ে তাকে (তরুণী) আক্রমণ করে বাঘটি। এ ঘটনায় তরুণীর মা-ও আহত হয়েছেন। পরে বাড়ির ভেতরে টেনে নিয়ে গিয়ে তাকে রক্ষা করেন তার মা। সামান্য আহত ওই তরুণী ও তার মাকে চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে বাঁচানো যায়নি ছাগলটিকে।

jagonews24

আক্রান্ত হওয়ার পর একটি সেলফি তুলেন মেশরাম। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে মঙ্গলবার। তার মুখে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখা যাচ্ছে ওই ছবিতে।

ওই তরুণীর ‘অনুকরণীয় সাহসের’ প্রশংসা করেছেন এক চিকিৎসক। বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ে আহত তরুণীর চিকিৎসা করেছেন তিনি। ওই চিকিৎসক বলেছেন, তরুণীর সৌভাগ্য যে বাঘ কামড় বসাতে পারেনি তার শরীরে।

তবে মেশরামের মাথায়, কোমড়ে, পায়ে ও হাতে আঘাতের ক্ষত রয়েছে। তবে তা গুরুতর নয়। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন এই তরুণী।

মেশরামের মা জিজাভাই বিবিসিকে বলেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, আমার মেয়ে মরতে যাচ্ছে।’ রক্তাক্ত শরীরে মেয়েকে বাঘের সঙ্গে লাঠি নিয়ে লড়াই করতে দেখে ভয় পেয়েছিলেন তিনি।

jagonews24

ঘটনার ১০ দিন পর রুপালি মেশরামের একটি ছবি তুলেছে বিবিসি। এতে দেখা যায়, তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই।

আক্রান্ত হওয়ার সময় তারা বনের এক নিরাপত্তারক্ষীকে ডেকেছিলেন। ওই নিরাপত্তারক্ষী এসে যখন পৌঁছান; তখন পেরিয়ে গেছে ৩০ মিনিট, চলে গেছে বাঘটিও।

বনের কাছেই রুপালি মেশরামদের ওই গ্রামে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী হামলা চালায়। মেশরাম বলেন, ‘এ ধরনের হামলার শিকার হওয়ার পর শিগগিরই যে গ্রামে ফিরতে পারবো তা নিয়ে আমি একটু চিন্তিত ছিলাম। তবে আমি ভীত ছিলাম না।’

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।