খালেদাকে বিচারের আওতায় আনার পরামর্শ তথ্যমন্ত্রীর


প্রকাশিত: ০১:০৮ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪

স্বাধীনতার ইতিহাস ও জন্ম তারিখ নিয়ে প্রতারণার দায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিচারের আওতায় আনার বিষয়টি বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

হাসানুল হক ইনু বলেন, বেগম জিয়া ও তাঁর দল রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষণা, প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং ন্যক্কারজনক ভুয়া জন্মদিন উদযাপন- এ তিন বিষয়ে মিথ্যাচারের ডালপালা ছড়াচ্ছেন। এসব মিথ্যাচার জঘন্য প্রতারণার শামিল এবং বেগম জিয়াকে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় বিচারের আওতায় আনার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই তিন মিথ্যে প্রচারণা চালিয়ে তারা খুব কৌশলে বাংলাদেশের মৌল ভিত্তির সঙ্গে তামাশা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড উদযাপন করছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগী হিসেবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানের রাজনীতিতে অভিষেকের পর তাঁর দল প্রথম যে প্রচারণাটি শুরু করে তা হলো- ‘তিনিই স্বাধীনতার ঘোষক।

মন্ত্রী বলেন, পরবর্তীকালে এই দম্পতির পলাতক বড় ছেলে তারেক রহমান লন্ডনে বসে অদ্ভূত এক দাবি করে বসেন। তার বাবাই ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি।

ওই দাবি নাকচ করে ইনু ১৯৭১ সালের ১৭ এপিল মুজিবনগর সরকার নামে বহুল পরিচিত বাংলাদেশের প্রথম সরকারের ঘোষণাপত্রের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন যা অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের ন্যায্য অধিকার অর্জনের লক্ষ্যে যথাযথভাবে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া ঘোষণাপত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি করে সরকার গঠন কোন মুষ্টিমেয় লোকের ইচ্ছার বিষয় নয়... এর বৈধতার ভিত্তি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জনগনের দেওয়া রায়। যদি তাদের দাবি সত্য হতো, তাহলে ২৬ মার্চের পরিবর্তে ২৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালিত হতো, যেদিন জিয়াউর রহমান কালুরঘাটের গোপন বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার এত বছরেও বিএনপি কখনই স্বাধীনতা দিবস পরিবর্তনের কোন প্রস্তাব করতেও সাহস করেনি। - বাসস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।