পাকিস্তানে ফিরলেন মালালা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ এএম, ২৯ মার্চ ২০১৮

পাকিস্তানে ফিরলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই। তালেবান জঙ্গিদের গুলিতে আহত হওয়ার পর দেশ ছেড়েছিলেন তিনি। প্রায় পাঁচ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন মালালা।

২০১২ সালে নারী শিক্ষার জন্য ক্যাম্পেইন প্রচারণা করতে গিয়ে তালেবানের হামলার শিকার হন মালালা। তার মাথায় গুলি লাগে। বর্তমানে মালালার বয়স ২০ বছর।

পাকিস্তানে মালালার সফর সম্পর্কে এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, সংবেদনশীলতার কারণে তার এই সফর সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়গুলো গোপন রাখা হয়েছে।

পাকিস্তানের বেশ কিছু গণমাধ্যম ও টেলিভিশনের ফুটেজে বাবা-মায়ের সঙ্গে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদের বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা গেছে মালালাকে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে চারদিনের সফর করবেন মালালা। তিনি তার মালালা ফান্ড গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন। এই সফরে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোয়াত অঞ্চলে মালালার পিতৃনিবাস ছিল। এই সফরে নিজের সেই পুরনো বাড়িতে মালালা যাবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।

১৫ বছর বয়সে মালালা স্কুলবাসে করে যাওয়ার সময় তালেবানের হামলার শিকার হয়। তার ওপর হামলার ঘটনা বিশ্বজুড়ে তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে পাকিস্তানের একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি তার পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেন।

সুস্থ হওয়ার পর মালালা নতুন করে আবারও বিশ্বজুড়ে শিশু শিক্ষা এবং শিশু অধিকারের প্রতি সোচ্চার হয়ে ওঠেন। তিনি তার বাবার সহায়তায় মালালা ফান্ড গড়ে তোলেন। এর লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি বিশ্ব গড়ে তোলা যেখানে সব নারী শিক্ষা অর্জন করতে পারবে এবং তারা কোনো ভয় বা আতঙ্ক ছাড়াই নেতৃত্ব দিতে পারবে।

২০১৪ সালে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান মালালা। তিনি এবং ভারতীয় কর্মী কৈলাস সাতিয়ারথি যৌথভাবে শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করায় নোবেল পুরস্কার পান।

টিটিএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।