উত্তর প্রদেশে বিজেপির বদলা, কর্নাটকে কংগ্রেস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৩ এএম, ২৪ মার্চ ২০১৮

উত্তর প্রদেশে লোকসভা উপনির্বাচনে হারের বদলা নিয়েছে বিজেপি। গোরক্ষপুর-ফুলপুরে হারের বদলা বিজেপি রাজ্যসভার ভোটেই নিয়েছে। দিনভর উত্তেজনা শেষে সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশে ১০টি আসনের মধ্যে ৯টি আসন পেয়েছে বিজেপি। বাকি আসনে জয়ী হয়েছেন সপার জয়া বচ্চন।

রাজ্যসভার দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে মোট আসন ছিল ৫৯টি। এর মধ্যে ৩৩টি আসনের প্রার্থীরা আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। শুক্রবার ভোট হয় বাকি ২৬ আসনে। ভোটে আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ ও কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটক। দুই রাজ্যে ভোট হয় যথাক্রমে ১০ ও ৪টি আসনে। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে ৫, তেলেঙ্গানায় ৩, ঝাড়খন্ডে ২ এবং কেরালা ও ছত্তিশগড়ে একটি করে আসনে ভোট হয়েছে।

বিধানসভার নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ১০টি রাজ্যসভা আসনের মধ্যে ৮টিতেই বিজেপি এবং একটিতে সপার জয় নিশ্চিত ছিল। দশম আসন নিয়ে বিজেপি এবং বসপার মধ্যে টানটান লড়াই চলছিল। দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করেই সপা এবং বসপার একাধিক বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেন। এই জয়কে গণতন্ত্রের জয় বলে উল্লেখ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি মহেন্দ্রনাথ পান্ডে। এর ফলে রাজ্যে উন্নয়নের কাজ আরও গতিশীল হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

এদিকে, এই ভোটের ফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারকে প্রভাবিত করার অভিযোগ এনেছেন জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন।

অপরদিকে, পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যাশিত ভাবেই ৪টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ১টি আসনে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী রবীন দেব হেরে গিয়েছেন। ৪৯টি ভোট পেলেই একজন প্রার্থীর জয় সুনিশ্চিত হওয়ার কথা ছিল। তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা যত, তাতে ৪ প্রার্থীকে ৪৯টি করে ভোট দিয়েও বেশ কিছু ভোট অতিরিক্ত থেকে যায়। সেই অতিরিক্ত ভোট কংগ্রেস প্রার্থীকে দেওয়া হবে এমন ঘোষণা আগেই দিয়েছিল তৃণমূল। ফলে পঞ্চম আসনে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির জয় প্রায় নিশ্চিতই ছিল। তিনি জয়ীও হয়েছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৪২টি আসনে জিতেছিল।

কর্ণাটকের লড়াইও ছিল উত্তর প্রদেশের মতো টানটান। ভোট হয়েছে ৪ আসনে। জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৭টি ভোট। কংগ্রেসের ১২৪ বিধায়কের জন্য দুই প্রার্থীর জয় ছিল নিশ্চিত। তাদের বাড়তি ভোট ছিল ৩২। বিজেপি ও জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ) এক জোট হয়ে লড়াই করেছে। দুটি আসন জিততে তাদের প্রয়োজন ছিল ৯৪ ভোট। কিন্তু জনতা দলের ৭ বিধায়ক কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দেওয়ায় তৃতীয় আসনটিও জিতে নেয় কংগ্রেস।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।