কী আছে কৃষ্ণ গণ্ডারের ভাগ্যে
দিন কয়েক আগেই মারা গেল পৃথিবীর শেষ পুরুষ শ্বেত গণ্ডার ‘সুদান।’ সুদানের বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। কেনিয়ার একটি সংরক্ষণাগারে ২৪ ঘণ্টা অস্ত্রধারী নিরাপত্তারক্ষীদের প্রহরায় রাখা হতো সুদানকে। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে শ্বেত গন্ডারের বংশবিস্তার হুমকির মুখে পড়ল।
এখন এই প্রাণীটিকে ফিরে পাওয়ার একমাত্র আশা হলো বিজ্ঞান। অর্থাৎ গবেষণাগারে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে এই প্রাণীটিকে জন্মানো যেতে পারে।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের মৃত্যুর পর এই প্রজাতির প্রাণীটি ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়াও আরও যেসব প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পথে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে সুমাত্রান গণ্ডার, কৃষ্ণ গণ্ডার, আমুর চিতাবাঘ, ফরেস্ট হাতি এবং বোর্নিও দ্বীপের ওরাংওটান। তার কোনো কোনোটির সংখ্যা হয়তো একশোরও কম বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করে এরকম আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন এসব প্রাণির একটি তালিকা তৈরি করেছে। তার নাম দেয়া হয়েছে ‘রেড লিস্ট।’ এই তালিকায় উদ্ভিদ, স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, জলে ও স্থলে বাস করতে পারে এরকম উভচর প্রাণি, সামুদ্রিক প্রাণি ইত্যাদি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলোকে আবার কোনটা কতো বেশি ঝুঁকির মুখে সেই তুলনা করে তাদের একেকটা ভাগে ফেলা হয়েছে।
এ সংস্থাটির হিসাবে বর্তমানে ৫ হাজার ৫৮৩টি প্রাণি ‘গুরুতর বিপদের’ মুখে।
এদের মধ্যে অন্তত ২৬টি প্রাণিকে ২০১৭ সালে বিপন্ন ঘোষণা করা হয়েছিল।
আইইউসিএনের হিসেবে ২০১৬ সালের নভেম্বরেও ৩০টির মতো ভাকুইয়তা বেঁচে ছিল। তবে এখন আশঙ্কা, এক দশকের মধ্যেই প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
এসব প্রাণির সংখ্যা কত সেটা একেবারে নির্ভুলভাবে বলা কঠিন। এ কারণেই এ গণনা সবসবময় বিতর্কের উর্ধ্বে থাকে না।
এ ছাড়াও প্রত্যেক বছর নতুন নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায়। ফলে ঠিক কতো সংখ্যক প্রাণি আসলেই বিপন্ন হওয়ার পথে সেটা হিসেব করা একটু জটিল। বিজ্ঞানীদের অনেকে বলেন, কোনো কোনো প্রাণির অস্তিত্ব সম্পর্কে জানার আগেই সেগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।
এনএফ/এমএস