ক্রুদের শরীরে মাদকের অস্তিত্ব পরীক্ষা করবেন চিকিৎসকরা
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত বিমানের ক্রু সদস্যদের শরীরে মাদকের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা পরীক্ষা করবেন চিকিৎসকরা। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর কাঠমান্ডু পোস্ট।
বিধ্বস্ত বিমানের নিহত যাত্রীদের মরদেহ ময়নাতদন্ত করছেন ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হসপিটালের ফরেনসিক বিভাগের সদস্যরা। তারা জানিয়েছেন, বিমানের পাইলট, কো-পাইলট এবং অন্যান্য ক্রুদের শরীরে কোনো ধরনের বিষ বা মাদকের উপস্থিতি ছিল কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর পরই যে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে মাত্র আটজনের মরদেহ সহজেই শনাক্ত করা গেছে।
ফরেনসিক বিভাগের প্রধান প্রমোদ শ্রেষ্ঠা বলেন, বিধ্বস্ত বিমানের নিহত যাত্রীদের শরীরে মাদক বা বিষক্রিয়ার উপস্থিতি পরীক্ষা করা একটি আন্তর্জাতিক প্রথা। বিমানের নিহত ব্যক্তিদের শরীরে মাদকের উপস্থিতি পরীক্ষা করে কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা এর রিপোর্ট হাতে পাব বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষার মাধ্যমে নিহতদের শরীরে অন্য কোনো রোগের উপস্থিতি ছিল কিনা তাও দেখা হবে। বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের শরীরে মাদকের মাত্রা এবং শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
একই সঙ্গে চিকিৎসকরা নিহতদের হৃৎপিণ্ড এবং অন্যান্য অঙ্গ প্রতঙ্গ পরীক্ষা করে দেখবেন। এর ফলে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে তাদের শারীরিক সমস্যা বা কোন ক্র সে সময় হার্ট অ্যাটাক করেছেন কিনা যার ফলে বিমান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি, এসব কারণও খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলেন, আমরা মাত্র আটজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। বাকিরা অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় বা বিভিন্ন ধরনের আঘাত পাওয়ায় তাদের সহজে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে যাদের পরিচয় জানা যায়নি তাদের ব্যবহার্য জিনিস যেমন, কানের দুল, আংটি, গহনা বা সাথে থাকা জিনিসপত্র থেকেও তাদের পরিচয় জানা যাবেন।
এছাড়া প্রত্যেকের জাতীয় পরিচয় পত্র বা নাগরিকত্বের কাগজপত্র থেকে তাদের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে দেখা হবে। অন্য কোনো ভাবে পরিচয় জানা না গেলেও ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমেও নিহতদের পরিচয় জানা সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
টিটিএন/আরআইপি