ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া গুণছেন
ঈদফেরৎ ঢাকাগামী কর্মমুখী মানুষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে লঞ্চ-ফেরি পারাপার এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহন যোগে গন্তব্যে পৌঁছাতে গিয়ে নানা হয়রানি ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। ঈদের ছুটি শেষে এসকল রুটে যাত্রীসাধারণ কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একশ্রেণির পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের হাতে যেন জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাটুরিয়া থেকে যাত্রীসেবা, পদ্মা লাইন, নবীন বরণ, যোগাযোগ পরিবহনসহ বিভিন্ন নামের বাস সার্ভিসের মালিক-শ্রমিকরা নবীনগর, সাভারের পূর্ব-নির্ধারিত যাত্রী প্রতি ৪০ টাকার স্থলে ১শ/দেড়শ ও ঢাকার গাবতলী পর্যন্ত ৬০ টাকার স্থলে ২শ টাকা করে আদায় করছে। অতিরিক্ত যাত্রীচাপ সামাল দিতে ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে চলাচলকারী শেখর, পলাশ, নিরাপদ, শুভযাত্রাসহ বিভিন্ন পরিবহনের অসংখ্য বাস পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট থেকে নবীনগর, আশুলিয়া, জয়দেবপুর, গাজীপুর রুটে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে।
একশ্রেণির পরিবহন মালিক-শ্রমিক স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় বাসে অতিরিক্ত যাত্রী তুলে দিয়ে বেশি ভাড়া আদায় করছেন। এক্ষেত্রে বিআরটিসির কয়েকটি দোতলা ও নিয়মিত চলাচলকারী স্পেশাল বাসের ঠিকাদার-কর্মচারীরাও পিছিয়ে নেই। এ পরিবহনেও দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাটে বাস মালিক সমিতির আলাল গ্রুপ ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের আমজাদ গ্রুপ নামের সিন্ডিকেট যানবাহনের কৃত্রিম সঙ্কট সৃস্টি করে বাসের ভেতর ও ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী তুলে বেশি ভাড়া আদায় করছে। অথচ, ঘাটে দায়িত্বরত পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা ‘অজ্ঞাত’ কারণে নীরব রয়েছেন। যদিও এ সকল অব্যবস্থা, অনিয়ম, দুর্নীতি রোধে সরকারি উদ্যোগে ইতোপূর্বে বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়। তবে, সংশ্লিষ্টরা এহেন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগে গত শুক্রবার শিবালয় থানা পুলিশ কিছু বাস মালিক-চালককে ডেকে এনে শাসিয়ে দেয়। এছাড়া পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে একই অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক চালককে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এদিকে, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার ‘কাটা-লাইন’ নামে পরিচিত কোচ সার্ভিসের যাত্রীরা দৌলতদিয়া থেকে ফেরি বা লঞ্চে পাটুরিয়া এসে নির্দিষ্ট সময়ে গাড়ি না পেয়ে চরম হয়রানি ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। কোচ মালিক-শ্রমিকরা জানান, যানজট ও অতিরিক্ত যাত্রী চাপের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে ঘাটে গাড়ি পৌঁছাতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
এমজেড/এমএস