হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বিধ্বস্ত বিমানের ২১ যাত্রী
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৫০ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে বিমানটির ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ৪ ক্রু ও ৬৭ আরোহীবাহী বাংলাদেশি বেসরকারি এ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
নেপাল পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল মনোজ নোপ্যানে বলেছেন, বিমান বিধ্বস্তে ৫০ জন মারা গেছে। এছাড়া রাজধানী কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরো ২১ জন।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস২১১ চার ক্রু ও ৬৭ আরোহী নিয়ে সোমবার ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রোপ বিমানটি ৬৭ আরোহী ও চার ক্রু নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল।’
পুলিশ কর্মকর্তা মনোজ নোপ্যানে বলেন, বিমানের ধ্বংসাবশেষের ভেতর থেকে ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, হাসপাতালে নেয়ার পর ১৮ জনকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে, বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তিনি।
একই সঙ্গে দেশটির সরকার দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত করবে বলে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন নেপালের এ প্রধানমন্ত্রী।
দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সানজিব গৌতম বলেন, রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটির পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
তিনি বলেন, ইউএস-বাংলার বিমানটিকে বিমানবন্দরের দক্ষিণ-প্রান্ত থেকে রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানটি বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে অবতরণের চেষ্টা করে। এ সময় হঠাৎ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ পুরুষ, ২৭ নারী ও দুই শিশু ছিল। এদের মধ্যে অন্তত ৩৩ জন নেপালের নাগরিক।’ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোম্বারডায়ার ড্যাশ-৮ বিমানটি দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়।
সূত্র : কাঠমান্ডু পোস্ট।
এসআইএস/এমএস