‘ভাগ্য ভালো, তাই বেঁচে এসেছি’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৪৭ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮

বসন্ত বোহোরা। নেপালের রসিতা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস ও ট্যুরসের কর্মকর্তা। দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত বিমানের বেঁচে যাওয়া যাত্রী তিনি। সোমবারের প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন তিনি।

বোহোরা বলেন, বিমানটিতে বিভিন্ন ট্রাভেল সংস্থার ১৬ নেপালি যাত্রী ছিলেন। আমরা প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার জন্য বাংলাদেশে গিয়েছিলাম।

ঢাকা থেকে স্বাভাবিকভাবেই বিমানটি উড্ডয়ন করে উল্লেখ করে বোহোরা বলেন, কাঠমান্ডুতে অবতরণের সময় এটি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে।

US-bangla

‘হঠাৎ বিমানটি ঝাঁকুনি দিতে শুরু করে এবং এরপরই উচ্চ শব্দ হয়। আমি জানালার পাশেই বসে ছিলাম। জানালার কাঁচ ভেঙে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হই।’

নেপালের এ যাত্রী বর্তমানে দেশটির থাপাথালির নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

‘বিমান থেকে রেরিয়ে আসার পর আমার আর কিছু মনে নেই। কেউ একজন আমাকে সিনামঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আমার বন্ধুরা নরভিক হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

US-bangla

তিনি বলেন, ‘আমি মাথায় এবং পায়ে আঘাত পেয়েছি। তবে আমি সৌভাগ্যবান যে বেঁচে ফিরেছি।’

সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ৪ ক্রু ও ৬৭ আরোহীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রোপ বিমানটি ৬৭ আরোহী ও চার ক্রু নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল।’

তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ পুরুষ, ২৭ নারী ও দুই শিশু ছিল। এদের মধ্যে অন্তত ৩৩ জন নেপালের নাগরিক।’

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বোম্বারডায়ার ড্যাশ-৮ বিমানটি দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এতে আগুন ধরে যায়।

সূত্র : কাঠমান্ডু পোস্ট।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।