অবতরণের নির্দেশনা মানেননি পাইলট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৮

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটির পাইলটকে বিমানবন্দরের দক্ষিণ-প্রান্ত থেকে রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে বিমানটি অবতরণের চেষ্টা করে পাইলট। এসময় হঠাৎ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।

নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সানজিব গৌতম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কী কারণে পাইলট বিমানবন্দর কন্ট্রোল রুমের ওই নির্দেশনা পালন করেননি তা জানা যায়নি।

দেশটির এই কর্মকর্তা বলেন, রানওয়ের উত্তর অংশ দিয়ে অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটির পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ফলে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে আছড়ে পড়ে বিমানটি।

jagonews24

সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০মিনিটে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। নেপালের স্থানীয় দৈনিক হিমালয় টাইমস বলছে, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই বিমানটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। বিধ্স্ত বিমানটিতে চার ক্রুসহ ৭১ আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে ৩৩ জনই নেপালের নাগরিক।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেন, বিধ্বস্ত বিমানের ভেতর থেকে ২৫ জনকে উদ্ধারের পর কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শিনামঙ্গল প্রশিক্ষণ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে হাসপাতালের পৌঁছানোর পর চিকিৎসক এদের মধ্যে ৭ জনকে মৃত ঘোষণা করেছেন।

jagonews24

তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে ত্রিভূবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এদিকে, বিমান বিধ্বস্তের পর নেপালের পর প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।

সূত্র : হিমালয় টাইমস, কাঠমান্ডু পোস্ট।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।