যেভাবে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার বিমান
ঢাকা থেকে ৬৭ আরোহী ও চার ক্রু নিয়ে উড্ডয়নের পর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে আগুন ধরে যায়। সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
নেপালের স্থানীয় দৈনিক কাঠমন্ডু পোস্ট বলছে, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই বিমানটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। বিধ্স্ত বিমান থেকে ১৭ যাত্রীকে উদ্ধারের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে অন্য ৫০ যাত্রীর ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সানজিব গৌতম বলেন, রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটির পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
তিনি বলেন, ইউএস-বাংলার বিমানটিকে বিমানবন্দরের দক্ষিণ-প্রান্ত থেকে রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানটি বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে অবতরণের চেষ্টা করে। এ সময় হঠাৎ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সানজিব গৌতম বলেন, অস্বাভাবিক এ অবতরণের পেছনের কারণ এখনো আমরা জানতে পাইনি। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধারকারী অন্যান্য টিমের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন।
এসআইএস/আরআইপি