১৮০ কি.মি. হেঁটে মুম্বাইয়ে ৩৫ হাজার কৃষক
১৮০ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়েছেন তারা। দূর-দূরান্ত থেকে হেঁটেই মুম্বাইয়ে পৌঁছেছেন ৩৫ হাজার কৃষক। সম্পূর্ণ ঋণ মওকুফ, ফসলের ন্যায্য দাম, লাঙল যার জমি তার, গরিব কৃষক ও ক্ষেত মজুরদের জন্য পেনশন থেকে আদিবাসীদের অরণ্যের জমির উপরে অধিকারের মতো দাবি নিয়েই অসহ্য গরম উপেক্ষা করেই গত ছয়দিন ধরে মিছিল করেছেন অসংখ্য কৃষক।
মিছিলে প্রতিবাদী কৃষকদের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ৩৫ হাজারে পৌঁছেছে। তবে উদ্যোক্তাদের দাবি, এই সংখ্যাটা ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজারে পৌঁছাবে। ১৮০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে রোববার মাঝরাতেই মুম্বাই পৌঁছায় কৃষকদের লাল মিছিল।
নিজেদের দাবি মেটাতে সোমবার সকাল ৯টা থেকেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভবন ঘেরাও করবেন কৃষকেরা। তবে তার আগে ভোর থেকেই আজাদ ময়দানের দিকে রওনা দিতে শুরু করেন তারা। বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে এই কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলে।
মহারাষ্ট্রের কৃষক সভার উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই কৃষক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন শিবসেনা, এনসিপির মতো দলগুলো। রোববার সকালেই কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেছেন শিবসেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকুরের ছেলে আদিত্য। নাসিকের এক সভায় কেন্দ্র ও রাজ্যের কৃষকবিরোধী সরকারকে ছুড়ে ফেলার ডাক দিয়েছেন এনসিপির প্রধান শরদ পওয়ার।
আলোচনা শুরু হয়েছে সংঘ পরিবারেও। ঘরোয়া আলোচনায় বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন যে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রের মতো একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে কৃষক আন্দোলন কোনো ভালো ইঙ্গিত নয়। সোমবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা কৃষক প্রতিনিধিদের।
বামপন্থী অল ইন্ডিয়া কিসান সভার (এআইকেএস) প্রেসিডেন্ট অসোক ধাওলে জানিয়েছেন, তারা আজ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিস মহাজনের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। গিরিস মহাজন কৃষকদের দাবি দাওয়া মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাদনেভিসের কাছে তুলে ধরবেন।
কৃষকদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অসোক ধাওলে। তিনি বলেন, আমরা ২৫ হাজার কৃষককে নিয়ে যাত্রা শুরু করি। কিন্তু আজকে তা ৫০ হাজারে গিয়ে ঠেকবে। তবে তারা শহরের কাউকে বিরক্ত করবেন না। বরং শান্তিপূর্ণভাবেই সমাবেশে অংশ নেবেন।
তিনি বলেন, আমরা সকাল ১১টার পর আমাদের সমাবেশ শুরু করব যেন দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হয়। মঙ্গলবার বিকাল থেকেই মিছিল, সমাবেশে অংশ নিতে থাকেন বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা।
টিটিএন/জেআইএম