ভোলায় মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু
ভোলায় ফেরিঘাট মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই আন্দোলন চলছিল। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নির্দেশে শুক্রবার দুপুরে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ইলিশা ফেরিঘাট সড়ক ও ৩ ইউনিয়নকে রক্ষায় বালুভর্তি জেও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং (ফেলতে) শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের টাস্কফোর্স টিম।
চাঁদপুর থেকে মোটা দানার বালি এনে তা ব্যাগে ভরে ফেলা হচ্ছে। ইলিশা ফেরিঘাটের মসজিদের মোড় এলাকায় প্রথম পর্যায়ে ৫০ হাজার ব্যাগ ফেলা হবে। গতকাল আরো ৫০ হাজার ব্যাগ ফেলার দাবি জানান এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। ঈদের দিন থেকে হঠাৎ করেই উজানের পানির চাপে ইলিশা ফেরিঘাট সড়কসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। স্বার্থ রক্ষা উন্নয়ন কমিটির ব্যানারে এলাকার শত শত মানুষ ভাঙন রোধের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন।
৪ দিন আগে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ভাঙন এলাকা পরিদশর্ন করে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। বাণিজ্যমন্ত্রী তাৎক্ষণিক পানিসম্পদ মন্ত্রী ও সড়ক ও সেতু মন্ত্রীর সঙ্গে এলাকার ভয়াবহতা তুলে ধরে যোগযোগ করেন। এর পরেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার বস্তা ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয় বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ।
এদিকে গতকাল ভাঙন রোধে কাজ করার সময় টাক্সফোর্স প্রধান কাজী তোফায়েল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীন সরকার, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম, স্বার্থ রক্ষা উন্নয়ন কমিটির সহসভাপতি আবু তাহের, ওই সংগঠনের সম্পাদক অমিতাভ অপু, এলাকার সায়েদ আলী, আমির হোসেনসহ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। এ দিকে এ রুটে দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের ১৬ জেলার হাজার হাজার মানুষ সহজ যোগাযোগের জন্য যাতায়াত করে থাকেন।
অমিতাভ অপু/এমজেড/পিআর