শয়তানের তিন হাতের এক হাত ইরান : সৌদি যুবরাজ
সমতলীয় জ্যামিতির ভাষায় তিন বাহু দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে ত্রিভুজ বলা হয়। আর ইরান, তুরস্ক ও চরমপন্থি ইসলামি দলগুলোকে ‘ট্রায়াঙ্গেল অব এভিল’ বলে অভিহিত করেছেন প্রভাবশালী সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মিসরের আল-শরুক পত্রিকার সূত্র দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে রয়টার্স।
তুরস্কের বিরুদ্ধে এক শতাব্দী আগে অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের মধ্যে দিয়ে বিলুপ্ত হওয়া সুন্নি ইসলামিক খিলাফতকে নতুন করে ফিরিয়ে আনার অভিযোগও এনেছেন এই যুবরাজ।
মোহাম্মদ বিন সালমানের এমন মন্তব্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে সৌদি আরবের খারাপ সম্পর্কেরই ইঙ্গিল মেলে। এরদোগানের দল, তুরস্কের ক্ষমতাসীন একে পার্টির মূলে অন্তর্নিহিত রয়েছে ইসলামি রাজনীতি। এ ছাড়া সৌদি আরব ও উপসাগরীয় কয়েকটি দেশের সঙ্গে কাতারের দ্বন্দ্বে তুরস্ক কাতারের পক্ষ নিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে যুদ্ধের অবসানে মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের সঙ্গেও করেছে তুরস্ক। ইরান ও তুরস্কের সেনাপ্রধানরা একে অপরের দেশও সফর করেছেন।
আল-শোরুকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমসাময়িক সময়ে শয়তানের যে তিনটি হাত রয়েছে (ট্রায়াঙ্গেল অব এভিল) সে তিনটি হলো- ইরান, তুরস্ক ও চরমপন্থি ধর্মীয় সংগঠনগুলো।
কায়রো সফরে মিশরীয় কয়েকটি পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে আলপকালে এসব কথা বলেন সৌদি যুবরাজ। ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই তার প্রথম বিদেশ সফর।
কাতারের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্ব দীর্ঘায়িত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ৬০ বছর আগে কিউবার উপর যেমন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বিষয়টিকে তার সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। তবে ওই নিষেধাজ্ঞার প্রভাবকে গুরুত্ব না দিয়ে তিনি উপসাগরীয় ধনী দেশটিকে কায়রোর একটি রাস্তার চেয়েও ছোট বলে অভিহিত করেন।
গত বছরের জুনে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। বিশ্বের বৃহত্তর দ্রবীভূত প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানিকারক দেশটির সঙ্গে আকাশ ও নৌপথেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।
তবে এই মাসের শেষ দিকে সৌদি আরবে আয়োজিতব্য আরব দেশগুলোর একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে কাতারকে বাধা দেয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন সালমান।
সূত্র : রয়টার্স।
এনএফ/জেআইএম