নেসলের মিলো পাউডারে ভুয়া স্বাস্থ্য রেটিং বসিয়ে প্রতারণা
তরল পানীয় তৈরির পাউডারে ভুয়া ‘হেলথ স্টার রেটিং’ বসিয়ে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বহুজাতিক খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নেসলের বিরুদ্ধে।
নেসলের মিলো পাউডারের প্যাকেটে হেলথ স্টার রেটিং ৪ দশমিক ৫ লেখা রয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোক্তারা যাতে মনে করেন যে, নেসলের এই পাউডার স্বাস্থ্যসম্মত; সেলক্ষ্যে ভুয়া এই রেটিং বসিয়ে বাজারজাত করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ নিয়ে আপত্তি তোলার পর সুইস এ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান নেসলের মিলোর প্যাকেট থেকে স্বাস্থ্য রেটিং প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক গ্লাস দুধে নেসলের তিন চা চামচ মিলো পাউডার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী; এই প্রচারণায় মিলোর প্যাকেটে হেলথ স্টার রেটিং ৪ দশমিক ৫ বসিয়েছে নেসলে।
এর আগে বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং অস্ট্রেলিয়ার ভোক্তা গ্রুপ ‘চয়েস’ পাউডার পরীক্ষা করার পর মিলোর ‘হেলথ স্টার রেটিং’ ১ দশমিক ৫ হওয়া উচিত বলে পরামর্শ দেয়।
চয়েসের ক্যাম্পেইন ও পলিসি বিভাগের প্রধান ক্যাটিনতা ডে বলেছেন, পণ্যের সঠিক বর্ণনা দিয়ে মিলোর স্টার রেটিং প্রতিস্থাপন করা উচিত। অভিযোগ ওঠার পর সুইস এই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান মিলোর প্যাকেট থেকে স্বাস্থ্য রেটিং উঠিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তবে ক্যাটিনতা ডে বলেছেন, ‘রেটিং উঠিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানালেও এটা পর্যাপ্ত নয়। মিলোর প্যাকেটের গায়ে ১.৫ রেটিং প্রদর্শন করতে হবে; যা পণ্যটির প্রকৃত উপাদান তুলে ধরবে।’
নেসলের নারী মুখপাত্র মার্গারেট স্টুয়ার্ট বলেছেন, ‘শুধুমাত্র মিলো পাউডার থেকে রেটিং তুলে নেয়া হবে। এছাড়া অন্যান্য সব ব্র্যান্ডেই হেলথ স্টার রেটিং ৪.৫ থাকবে।’
গত বছরের আগস্টে ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশে নেসলের গুঁড়োদুধে ‘নীরব ঘাতক’ কস্টিক সোডা ও ব্লিচিং পাউডার পাওয়ার অভিযোগ উঠে। অভিযোগ ওঠার পর নেসলের দুধ নিষিদ্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানায় রাজ্য সরকার।
ওই সময় ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে জানায়, তামিলনাড়ুর দুগ্ধ উন্নয়ন মন্ত্রী কে টি রাজেনথ্রা বালাজি অভিযোগ করে বলেন, রাজ্যে নেসলে এবং রিলায়েন্সের সরবরাহকৃত দুধে কস্টিক সোডা এবং ব্লিচিং পাউডারের মতো নীরব ঘাতক রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে।
গত ২৭ জুন তিনি বলেন, এ ধরনের ভেজাল পণ্যের কারণে কিডনি, লিভার ও হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি আলসার ও ডায়াবেটিসও হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এসআইএস/এমএস