জরুরি অবস্থার মধ্যেও শ্রীলঙ্কায় সহিংসতা অব্যাহত
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জেরে শ্রীলঙ্কায় ১০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তবে জরুরি অবস্থার মধ্যেও সেখানে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার ক্যান্ডি শহরে মুসলিমদের বেশ কিছু দোকান-পাট ও মসজিদে হামলা চালানো হয়। খবর আল জাজিরা।
দেশের বিভিন্ন অংশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যান্ডি শহরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের এলিট সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
গত মাসে দেশটির পূর্বাঞ্চলে মুসলিমদের একটি মসজিদ ও বেশ কিছু দোকানে হামলা চালায় উগ্রপন্থী বৌদ্ধরা। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়। ২০১৪ সালের জুনে মুসলিমবিরোধী প্রচারণার জেরে দেশটিতে প্রাণঘাতী আলুথগামা দাঙ্গার ঘটনা ঘটে।
গত বছর দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে অন্তত ২০টি হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা সংখ্যালঘু মুসলিমদের অধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে শ্রীলঙ্কার সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
পাহাড়ি শহর ক্যান্ডির মাদাওয়ালার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট মাইথিরিপালা সিরিসেনা ওই এলাকায় জরুরি অবস্থা এবং কারফিউ জারির পরেই তিনি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় একটি দোকান পুড়ে যেতে দেখেছেন।
মোহাম্মদ মানাজির নামের ওই বাসিন্দা আল জাজিরাকে বলেন, আমি একটি ভবনে আগুন লাগতে দেখেছি। কি ঘটেছে সেটা দেখার জন্য বাইরে বেরুতেই দেখি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। তিনি বলেন, যে দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে সেটি একটি মুসলিম বাসিন্দার দোকান।
মানাজির বলেন, মাদাওয়ালায় আর কোনও বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ওই এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। দমকল বাহিনীর লোকজন আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে।
স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দাঙ্গাকারীরা ক্যান্ডির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ওয়াত্তেগামা গ্রামের একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে।
টিটিএন/আরআইপি