তাজউদ্দীন আহমদের ৯০তম জন্মদিন আজ


প্রকাশিত: ০২:৫২ এএম, ২৩ জুলাই ২০১৫

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তাজউদ্দীন আহমদের ৯০তম জন্মদিন আজ। ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৌলভি মো. ইয়াসিন খান এবং মাতা মেহেরুন্নেছা খানম।

ছাত্রজীবন থেকেই তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ১৯৪৩ সালে তিনি বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সক্রিয় সদস্য মনোনীত হন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর ভাষা আন্দোলন, অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলন, সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলনসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি একনিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন এর মূল উদ্যোক্তাদের অন্যতম। ১৯৫৩-৫৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে তিনি যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে এমএলএ নির্বাচিত হন এবং ১৯৫৫ সালে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অংশ নিয়ে কারাবরণ করেন। ১৯৬৪ সালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে তিনি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলের সম্মেলনে যোগদান করেন। এই সম্মেলনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালীর মুক্তি সনদ ৬ দফা ঘোষণা করেন। ওই বছরই তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ৬ দফার প্রচারাভিযানের সময় ১৯৬৬ সালের ৮ মে তিনি গ্রেফতার হন এবং গণঅভ্যুত্থানের ফলে ১৯৬৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মুক্তিলাভ করেন।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংগঠিত অসহযোগ আন্দোলনে তাজউদ্দীন আহমদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হলে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে অত্যন্ত সফলভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন শেখ মুজিবুর রহমান। একই দিন সকালে তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দী করা হয় এবং পরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর তাকেসহ আরও তিন নেতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়।

এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।