ষাঁড়ের পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিল পুলিশ
জনগণের বন্ধু পুলিশ। তবে সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই মানুষের অভিযোগের অন্ত নেই। মানুষের মুখে মুখে তাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে- বাঘে ছুলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুলে ছত্রিশ ঘা। সেই পুলিশের আবার মানবিকতা?
পুলিশকে ঘিরে এমন মানসিকতার ষোল আনাই যে সত্য নয় তার প্রমাণে মেলে মাঝে মাঝেই।
যেমন চলতি মাসের মাঝামাঝিতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ দেখিয়েছিলেন পুলিশ সদস্য আফতাব।
আর পশ্চিবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির মানুষ দেখল মানবিক পুলিশকে। মদ্যপ কয়েক যুবকের মারধরে জখম একটি ষাঁড়ের ভাঙা পায়ে যত্নে ব্যান্ডেজ বেঁধে দিলেন পুলিশকর্মীরা।
ঘটনার বিবরণে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ঘটনার শুরু মঙ্গলবার রাতে। নেশার আসরে বসেছিলেন চার যুবক। হঠাৎ সেখানে হাজির হয় চার যুবক। কে ষাঁড়টিকে বাগে আনতে পারবে, সেটি নিয়ে বাজি ধরে ফেলেন চার যুবক। তবে উল্টো ষাঁড়ের গুঁতোয় বাগে চলে আসেন তারা নিজেরাই।
ষাঁড়ের কাছে এই হার মানতে পারেননি চার যুবক। তাই ভোরে নেশা কাটতেই শুরু হয় ষাঁড়ের খোঁজ। ষাঁড়টিকে পেয়ে গেলে লোহার রড নিয়ে নিরীহ প্রাণীটির উপর হামলা চালায় তারা। ষাঁড়ের আর্তনাদে লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যায় চার যুবক। তবে ততক্ষণে ডান পা ভেঙে গিয়েছে ষাঁড়টির। মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছে সে।
রাতে টহলে বেরিয়ে ষাঁড়টির এ অবস্থা দেখে তাকে থানায় নিয়ে চলে আসেন দুই এসআই। বৃহস্পতিবার সকালে এক পশু চিকিৎসককে ডেকে ষাঁড়ের ভাঙা পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা হয়। এক পুলিশকর্মীর কথায়, ‘অবলা প্রাণীটিকে বাঁচাতে যা করণীয় সেটাই করেছি। এখন ওই চার যুবককে খুঁজে শায়েস্তা করতে হবে।’
এনএফ/পিআর