পাকিস্তান, চীনের সহায়তায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ : ভারতীয় সেনাপ্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৯ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ছায়াযুদ্ধের অংশ হিসেবে চীনের সহায়তায় পাকিস্তান পরিকল্পিত উপায়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আসাম প্রদেশে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত।

বৃহস্পতিবার ভারতের এ সেনাপ্রধান বলেন, এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চীন এ কাজে সহায়তা করছে।

আসামের কয়েকটি জেলায় মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে রাজ্যে বদরুদ্দিন আজমল নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) প্রভাব বৃদ্ধির কথাও বলেন বিপিন রাওয়াত। তার পর্যবেক্ষণ, ১৯৮০ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রভাব রাজ্যে যেভাবে বেড়েছে; বর্তমানে একই গতিতে মুসলিমদের প্রভাব বাড়ছে।

বাংলাদেশ থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবৈধ অনুপ্রবেশের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘আমাদের পশ্চিমা প্রতিবেশির কারণে এখানে পরিকল্পিত অভিবাসন ঘটছে। তারা সব সময় ছায়াযুদ্ধের মাধ্যমে এই অঞ্চলের ওপর প্রভাব বিস্তার ও নিশ্চিত করতে চায়।’

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্তের নিরাপত্তার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। ভারতীয় এই সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমাদের পশ্চিমা প্রতিবেশি দেশটি বেশ ভালো ছায়াযুদ্ধ খেলছে। এই অঞ্চল অস্থিতিশীল রাখতে আমাদের উত্তরাঞ্চলের প্রতিবেশি চীনের সমর্থনে এটি করা হচ্ছে। সামনে আমরা আরো অনুপ্রবেশ দেখতে পাবো।’

তিনি বলেন, ‘সমস্যা শনাক্তের মধ্যেই সমাধান রয়েছে, সর্বোপরি এটির ওপর নজর দিতে হবে।’ বাংলাদেশিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ আসামের প্রধান একটি ইস্যু। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে সম্প্রতি নাগরিকদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্যের বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার।

১৯৮৪ সালে আসামে বিজেপি মাত্র দুটি আসনে জয় পেয়েছিল উল্লেখ করে বিপিন রাওয়াত বলেন, রাজ্যে এআইইউডিএফ নামে একটি দল আছে। আপনি যদি এটার দিকে তাকান তাহলে দেখবেন, তারা বছরের পর বছর ধরে বিজেপি যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তার চেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে। আসামে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে এআইইউডিএফ।

মুসলিমদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ২০০৫ সালে গঠিত হয় এআইইউডিএফ। বর্তমানে লোকসভায় তিনজন প্রতিনিধি ও বিধানসভায় ১১ জন বিধায়ক রয়েছে আসামের মুসলিমদের এই সংগঠনের।

ভারতীয় সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘এই অঞ্চলের উন্নয়নে সামগ্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই সমস্যার সমাধান হবে।

আসামের নয়টা জেলার পাঁচটিতে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মনে করি না, এই অঞ্চলের জনসংখ্যার পরিবর্তন এখনই আসবে।

তিনি বলেন, ‘মানুষকে আলাদা করতে গেলে আমাদের আরো সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। হ্যাঁ, আমাদের মাঝে যারা অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে তাদের শনাক্ত করতে হবে।’

বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের কারণ হিসেবে বন্যাসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে মানুষের আবাসন সঙ্কুচিত হওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

সূত্র : এনডিটিভি।

এসআইএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।