পুরুষ সেজে দুই নারীকে বিয়ে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৮ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

পুরুষ সেজে দুই নারীকে বিয়ে করার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে ভারতের উত্তরাখণ্ডের পুলিশ। তাদের অভিযোগ, ওই দুই নারীর একজনের উপর যৌতুকের জন্য অত্যাচারও করেছে অভিযুক্ত কৃষ্ণ সেন ওরফে সুইটি সেন।

পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের ধমপুরের বাসিন্দা সুইটি ‘কৃষ্ণ সেন’ নামে একটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে মেয়েদের সঙ্গে ভাব জমাতেন। তারপরে তাদের বিয়েও করত।

তার প্রথম স্ত্রী হলদোয়ানির কাঠগোদাম এলাকার বাসিন্দা। ২০১৪ সালে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে কাঠগোদামে আসেন সুইটি। সুইটি তাকে জানায়, সে আলিগড়ের এক সিএফএল বাল্ব ব্যবসায়ীর ছেলে। ওই নারীর পরিবারের কাছ থেকে সাড়ে আট লাখ টাকা যৌতুক নেয় সে। পরে আবার তাকে যৌতুকের জন্য মারধরও করেন।

এর মধ্যেই আবার কালাধুঙ্গি এলাকার আরও এক নারীর সঙ্গে ভাব জমান সুইটি। পরে তাকেও বিয়ে করেন সুইটি। হলদোয়ানির তিকোনিয়া এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানেই দুই স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। দুই নারীই বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি পুরুষ নন। দ্বিতীয় জনকে টাকার লোভ দেখিয়ে চুপ করাতে পেরেছিলেন তিনি। কিন্তু তার প্রথম স্ত্রী হলদোয়ানি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তার পরেই গ্রেফতার হয় সুইটি।

মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানানো হয়েছে, সুইটি নারীই। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই তার ছেলেদের মতো হাবভাব ছিল। পুরুষ সাজার জন্য চুলও কেটে ফেলেছিলেন। মোটরসাইকেল চালানো, সিগারেট খাওয়া তার অভ্যাসে পরিণত হয়। সুইটির পরিবারের সদস্যরা তার দুই স্ত্রীর বাড়িতেই আশীর্বাদ ও বিয়ের সময় এসেছিলেন। তাদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সুইটির বিরুদ্ধে প্রথমে যৌতুকের জন্য হেনস্থার অভিযোগ আনা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যেহেতু আইনত কারো স্বামী নন তাই এখন তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে হলদোয়ানি শহরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মনোবিদদের মতে, সুইটির পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার রয়েছে। কারণ সে তার নিজের লিঙ্গ স্বীকার করতে রাজি নয়। যেভাবে সে দুই স্ত্রীর উপর অত্যাচার করেছে তাতেও মানসিক সমস্যার প্রমাণ মিলেছে।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।