পুনরায় ব্যাংক খুলছে গ্রিসে


প্রকাশিত: ১২:০৩ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৫

তিন সপ্তাহ বন্ধ রাখার পর সোমবার গ্রিসের ব্যাংকসমূহ খুলে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু অর্থ নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকছে ব্যাপকভাবে এবং জনগণকে উচ্চমূল্যের ধাক্কা সামলাতে হবে। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তর এবং নতুন হিসাব খোলার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে।

এদিকে ব্যাংকগুলো তিন সপ্তাহ বন্ধ রাখায় অর্থনীতিতে এর ক্ষতির পরিমাণ ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে। গ্রিকরা এখন ব্যাংক থেকে সপ্তাহে ৪২০ ইউরো পর্যন্ত তুলতে পারবে। এর ফলে তাদেরকে আর গ্রীষ্মের গরমে প্রতিদিন এটিএমের সামনে লাইনে দাঁড়াতে হবেনা।

এর আগে হাজার হাজার লোককে প্রতিদিন এটিএম থেকে মাত্র ৬০ ইউরো তুলতে হতো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন শুক্রবার স্বল্প মেয়াদে গ্রিসের জন্যে ৭ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ইউরো ঋণ মঞ্জুর করায় গ্রিক সরকার আশা করছে সোমবার তারা ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের ৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউরো পাওনা মিটিয়ে দিতে পারবে।

গত সপ্তাহে গ্রিস আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কঠোর শর্তের তিন বছরের অর্থনৈতিক উদ্ধার পরিকল্পনায় সম্মত হয়। এতে ইউরোজনের সদস্য পদ হারানো থেকে রেহাই পায় দেশটি।

তবে এ জন্যে দেশটির ভোক্তাকূলকে চড়া মূল্য দিতে হবে। কারণ চিনি থেকে শুরু করে প্রায় সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর কর ১৩ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে।

এদিকে প্রথমবারের মতো গ্রিসের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্যে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা-ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউরোপীয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল আগামী সপ্তাহে এথেন্স যাবে।

গ্রিসে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের দেয়া ব্যয় সংকোচন প্যাকেজ পার্লামেন্টে পাস করাতে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাসের দল সিরিজিয়া পার্টিকে। ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই বিলের বিপক্ষে অবস্থান নেয়।

গত বুধবার পার্লামেন্টে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বিল পাসের সময়ে সিপ্রাসের জোটভুক্ত ১৬২ এমপি’র মধ্যে মাত্র ১২৩ জন এর পক্ষে ভোট দেন। তার দলের ১৪৯ এমপি’র মধ্যে ৩৯ জন সংস্কার বিলের পক্ষে ভোট দিতে ব্যর্থ হন।

কৃচ্ছ্বতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ক্ষমতায় আসা সিপ্রাসের সরকার ব্যয় সংকোচন শর্তে অর্থনীতি উদ্ধার বিলে সম্মত হয়েছে। এছাড়া সিপ্রাসের সরকার বামপন্থী হওয়া সত্ত্বেও কর বাড়ানো ও বেসরকারিকরণের মতো আন্তর্জাতিক ঋণ দাতাদের নানা শর্তে রাজি হয়।

বুধবার পার্লামেন্টে বিলের ওপর ভোটাভুটির আগে সিপ্রাস এক আবেগঘন বক্তৃতায় এছাড়া আর কোন উপায় নাই উল্লেখ করে এর দায় সকলকে ভাগাভাগি করে নেয়ার আহ্বান জানান।

এসএইচএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।